সপ্তক-Saptak 🌿

@saptak2020


অব্যক্ত লিখাগুলোর সুপ্ত প্রতিভা শেয়ার করো সপ্তকের সাথে।লেখা মানসম্মত হলে অবশ্যই চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। 🌼

লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ

1. @rajin_the_boss ☘️

2. @MaxRab ☘️

ভয়েস পেজ : https://t.me/+38acMoVDu2hlNDg1

মিম পেজ: t.me/castaway_memes2020

সপ্তক-Saptak 🌿

23 Oct, 05:29


জরুরিভিত্তিতে ৮ ব্যাগ AB- ('এবি' নেগেটিভ) রক্তের প্রয়োজন

⚠️ রোগের ধরণ: কোলন ক্যান্সার (colon cancer)
🩸 রক্তের গ্রুপ: AB(-ve) ('এবি' নেগেটিভ)
💉 রক্তের পরিমাণ:  ৮ ব্যাগ
📆 রক্তদানের তারিখ: ২১ থেকে ২৭ অক্টোবরের মধ্যে
🏥 রক্তদানের স্থান: আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনারেল হাসপাতাল, প্লট-০৩, এমব্যাংকমেন্ট ড্রাইভ ওয়ে, সেক্টর-১০, উত্তরা মডেল টাউন, উত্তরা, ঢাকা
☎️ যোগাযোগ: 01717384575

সপ্তক-Saptak 🌿

17 Oct, 17:09


ভালোবেসেছি তাই

আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/196 ]

[ ষষ্ঠ পর্ব ]


আয়ান আর নিতুল দুজনেই তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। মেয়েটা আর তার সাথের দুটো মেয়ে অবাক হয়ে তাকায় তাদের দিকে। আয়ানের পা কাঁপছিল। নিতুল বলে উঠলো, "আপনারা ব্যোমকেশ বক্সীর কমিক্স পড়েছেন? নতুন এসেছে। ঐ পেছনের সেকশনে গেলে দেখবেন।" মেয়েরা কিছু না বলে তাকিয়ে থাকে তাদের দিকে। তাদের চোখ মুখের চাহনি দেখে কস্মিনকালেও ব্যোমকেশ বক্সীর নাম শুনেছে বলে মনে হয় না। এমব্যারেসমেন্টের চূড়ান্ত। আয়ান এমন ভান করে থাকে যে সে নিতুলের পাশে দাঁড়ানো হলেও, নজর তার অন্যদিকে। সে আরেক দিকে তাকিয়ে "কী যেন দেখছে" এমন ভাব করে দাঁড়িয়ে রইল। মেয়েদের "কিংকর্তব্যবিমূঢ়" অবস্থা দেখে নিতুল ফের বলে ওঠে,"সেকী! আপনারা ব্যোমকেশ বক্সী পড়েননি কখনো?" মেয়েদের মধ্যে একটা মেয়ের গায়ের রঙ একটু শ্যামলা। সে উত্তর দিলো,"না, শুনিনি। কেন?" নিতুল দু হাত জোড় করে হাত নাড়িয়ে বললো, "ইউ ডোন্ট নো হোয়াট ইউ হ্যাভ মিসড। আপনাদের তাহলে ব্যোমকেশের নভেল ট্রাই করতে হবে আগে।"  এবার সেই মেয়েটা কথা বললো।

"কীরকম বই ওটা?"
"গোয়েন্দা গল্প। অসাধারণ। হোমস পড়েছেন? হোমস ভালো লাগে ব্যোমকেশও ভালো লাগবে। গ্যারান্টি দিচ্ছি।"
" না, সরি। গোয়েন্দা টোয়েন্দায় ইন্টারেস্ট নেই। আমরা হুমায়ুন আহমেদের বই খুঁজছি।"
"তাই? আরে, বি মাই গেস্ট। আমার প্রিয় সাহিত্যিক। সবক'টা বই পড়া আমার। এদিকে আসুন দেখাচ্ছি আমাদের।"

এই কথা বলেই নিতুল সামনের দিকে পা বাড়ালো আয়ানের দিকে না তাকিয়েই। যেন নিতুল এই লাইব্রেরির মালিক বা ওয়ার্কিং স্টাফ এমন কেউ। আয়ান এইবার নিতুলের চলে যাওয়ার দিকে একবার তাকিয়ে মেয়েদের দিকে আরেকবার তাকালো। মেয়েরা হয়তো ভাবছে নিতুলের পেছন পেছন যাবে কিনা। আয়ান একটু সংকোচ কাটিয়ে বললো, "যান ওর সাথে। ও ভালো বইয়েরই সন্ধান দেবে আপনাদের।" নিতুল পেছন ফিরে হাত নেড়ে তার দিকে যাওয়ার জন্য ইশারা করলো। মেয়েরা আর দাঁড়ালো না। আয়ানও চললো তাদের পেছন পেছন।

লাইব্রেরিটা বিশাল। একেকটা সেকশনে বিশাল সংখ্যক বই রাখা রয়েছে। নিতুল আর আয়ান প্রায়শই লাইব্রেরিতে আসে বলে লাইব্রেরির প্রতিটি কোণা তাদের নখদর্পণে। একটা কর্নারে গিয়ে নিতুল থমকে দাঁড়ালো এবং শেলফে রাখা বইগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ে বইগুলো দেখতে লাগলো। নিতুল চশমা পরে। উচ্চতায় আয়ানের মতই। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। চেহারা জুড়ে একটা চটপটে ভাব। সে বই দেখতে দেখতে চট করে দুটো বই তুলে আনলো শেলফ থেকে। বললো, "এই নিন। এই দুটো পড়ে দেখুন। আমি বলছি, ওর্থ ইট হবে। দাঁড়ান, আগে পড়া নেই তো আবার?"
মেয়েটা বললো, "না, এগুলো পড়া হয়নি।"
"বেশ, বেশ। তাহলে মাস্ট রীড। আর কিছু দেখবেন? কোন জনরা চাই বলুন?"
"আপনি কি এখানের কেউ? মানে কাজ টাজ করেন? না মানে বলছি, কারণ আমাদের এভাবে হেল্প করছেন তাই।"
"দেখুন এখানে আমি আর আমার বন্ধু আয়ান ক'দিন পর পরই এসে বই কিনি। তাই এই জায়গাটা খুব আপন হয়ে গেছে। নিজের ভাবতে কোনো দ্বিধা নেই।"
"আচ্ছা, আচ্ছা।"

আয়ান নিতুলের পাশে এসে দাঁড়ালো। নিতুল আর আয়ান মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো একবার। এর মধ্যে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে কী যেন কথা বলতে লেগে যায়। নিতুল ফের তাদের কথায় বাঁধা দিয়ে ওঠে। "বাই দ্য ওয়ে, আমার নাম নিতুল। আর এ হচ্ছে আমার বন্ধু আয়ান। আপনারা ছবি তুলবেন তো? আয়ানকে দিন। ও খুব ভালো ছবি তুলতে পারে। বেস্ট ফটোগ্রাফার ইন দ্য টাউন।"


[ চলবে..... ]

©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

16 Oct, 18:43


যারা ৩৫ এর পক্ষে তাদের বেশিরভাগ হলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করে বয়স খেয়েছে, হলে থাকার জন্য ছাত্রলীগের চামচামি করেছে অথবা নিজেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে, এইভাবে ৪ বছরের অনার্স ৬/৭ বছরে নিয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত চাকরির প্রস্তুতির জন্য সময় পায়নি। এখন সুযোগ পাইছে, আর এমনিই ৩৫ করে নিলো।
আর একটা কথা ৩৫ করাতে লাভ হবে বেশিরভাগ দলীয় লোকদের জন্য, রাজনীতি করে বয়স শেষ করেছে আর এখন ক্যাডার হবে।

সপ্তক-Saptak 🌿

15 Oct, 10:54


স্বপ্ন


আমি বরাবরই অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নগুলোর কোনো অর্থ থাকে না। একদিন দেখি, আমি আর শাহরুখ খান ট্রেনে করে কোথায় একটা যাচ্ছি। জানলা দিয়ে বাইরে তাকালে বোঝাই যাচ্ছিল যে, আদতে সেটা ট্রেনই। কিন্তু যখন ভেতরে চারিদিকে চোখ ঘোরালাম, দেখি আমি একটা ক্লাসরুমে বসে আছি। ভেতরে অনেকগুলো বেঞ্চ। সামনে বড়সড় একটা ব্ল্যাকবোর্ড দেয়ালের সাথে সাঁটা। টিচারের টেবিল আর চেয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। ক্লাসরুমও ফাঁকা। যখনই ক্লাসরুম ফাঁকা কেন ভাবছি, দেখি দু তিনটে ছেলে এসে ঢুকেছে। চিনতে পারিনি তাদের। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিচিত কয়েকজনের মুখ দেখতে পেলাম, যারা বসে ছিল সামনের বেঞ্চগুলোতে। এখানেও একটা অদ্ভুত ব্যাপার দেখলাম। যাদের কখনই একসাথে থাকার কথা না, তারা একসাথে বসে আছে। গল্পও করছে। আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছে। বিনিময়ে আমিও হাত নাড়ছি। কিন্তু আমার পাশে যে শাহরুখ খান বসে আছে,  সেদিকে তাদের ভ্রূক্ষেপ নেই। শাহরুখ খানের সাথে বাংলায় কথা বলেছি না হিন্দিতে, তা মনে পড়ছে না।


আরেকদিন দেখি, আমি একটা জঙ্গলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সাথে একটা মেয়ে। মেয়েটাকে আমি মনে মনে ভালোবাসতাম একসময়। মেয়েটা আমার পাশাপাশিই হাঁটছিল। দিনের বেলার জঙ্গল ছিল ওটা। চারিদিকে কীসব পাখি-টাখির কিচিরমিচির আর বুনো জন্তুর ডাক শোনা যাচ্ছিল। বাঘের গর্জনও শুনেছিলাম কিনা, মনে পড়ে না। আমি কেন যেন একটা কারণে ঘাবড়ে গেছিলাম। সে আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিল, "ভয় নেই। আমি আছি।" আমার পুরুষত্বে একটুও আঘাত লাগেনি তখন। মেয়ে হয়ে আমাকে ভরসা দিচ্ছে। এটা কোনো কথা? জেগে থাকলে হয়তো লাগতে পারতো। জানি না। স্বপ্নের আরও অনেক কিছু মনে নেই। একাংশ মনে আছে, যেখানে সে আর আমি নদীর ধারে ডাঙায় রাখা একটা ভাঙা নৌকোর ওপরে বসেছিলাম। বসে গল্প করছিলাম কিছু একটা নিয়ে। তখন সূর্যাস্তের সময় ছিল। সূর্যাস্তের সময় চারিদিকটা কেমন মায়াময় হয়ে পড়ে এটা যারা ঠিকঠাক সূর্যাস্ত দেখেছে, তারা বলতে পারে। সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় পশ্চিমকাশ বিভিন্ন রঙে রঙাচঙা হয়ে ওঠে। মেয়েটার মুখেও কেমন একটা রঙ দেখতে পেয়েছিলাম আমি। মনে হচ্ছিল, চুমু খাই ওর গালে। কিন্তু বাস্তবে যেমন ঐ কাজটি করার সাহস হতো না, স্বপ্নেও হয়নি। তবে ঘুম ভেঙে মনটা ভালো হয়ে গেছিল। রোজ রোজ তো আর অমন স্বপ্ন আসে না।


আরেকটা স্বপ্ন আমি ফ্রিকুয়েন্টলি দেখি। মানে, ঐ একই ধরনের স্বপ্ন। দেখি কী, আমি  এক্সামের আগের রাতে বই খুলে বসে আছি কিন্তু কোনো পড়াই শেষ হয়নি। সব বাকি। পাগলের মত করে পৃষ্ঠা ওল্টাচ্ছি আর এটা ওটা দেখছি। প্ল্যান করছি, কী কী আসতে পারে আর কী কী বাদ যেতে পারে। প্ল্যান করে খুশি হয়ে পড়ি। স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী,  সারারাত এটা ওটা পড়ি। কিন্তু ভোর পাঁচটা হতেই এত প্রবলভাবে ঘুম আমাকে পেয়ে বসে যে, আমি টেবিলেই মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি। আটটার দিকে মা জাগিয়ে দেয় এসে। দেখি পড়া অর্ধেকই শেষ হয়নি। আর দেরিও হয়ে গেছে। পরীক্ষার হল বাড়ি থেকে অনেক দূরে। তাড়াহুড়ো করে বের হই কিন্তু প্রবেশপত্র নিতে ভুলে যাই। ফের ফিরে আসি। আবার প্রবেশপত্র নিয়ে বের হই। আরও দেরি হয়ে যায়। এর মধ্যে রাস্তায়ও থাকে জ্যাম। ষোলকলা হয় পূর্ণ! এক্সাম হলে গিয়ে পৌঁছই এক্সাম শুরুর আধঘন্টা পরে। গিয়ে আরও অবাক হয়ে যাই। আমার প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির সব ক্লাসমেট-বন্ধুবান্ধবরা একই জায়গায় পরীক্ষা দিতে এসেছে। কেন কে জানে। এর মধ্যে আমি আবার আমার সীট খুঁজে পাই না। হল জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি দেখে স্যার ডেকে পাঠায়। বলে, "তুমি খালি গায়ে পরীক্ষা দিতে এসেছ কেন?" তখন খেয়াল হয়, তাড়াহুড়ো করে শার্টটাও গায়ে দিইনি। শুধু প্যান্ট পরে এসেছি। ভাগ্যক্রমে, ব্যাগেই একটা শার্ট ছিল। সেটাই গায়ে দিই।


আজ সকালে যে স্বপ্নটা দেখে ঘুম ভেঙেছে সেটা বলছি। দেখি, আমি শুয়ে আছি। তখনই প্রচন্ড জোরে কী একটা ভাঙার শব্দ হয়। মাথা তুলে দেখি আমার পায়ের কাছে উইলিয়াম বুচার বসে আছে আর ভাঙা দরজার কপাট হাতে দাঁড়িয়ে আছে স্বয়ং হোমল্যান্ডার। উইলিয়াম বুচার তখন আমার দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে বলছে, "Oi, mate! Still sleeping, eh?"


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

12 Oct, 18:01


মেয়েদের চাকরির বয়সসীমা ৩৭ ঠিক আছে। তবে সেটা ঊর্ধ্বসীমা না হয়ে নিম্নসীমা হলে ভালো হতো। তাহলে আর চাকরির সাথে বিয়ের কনফ্লিক্ট হতো না। বিয়ে করে, বাচ্চাকাচ্চা বড় করে, তাদের বিয়ে দিয়ে, এরপর নিশ্চিন্তে চাকরিতে ঢুকতে পারত।
স্যরি।🙂

-ত্বহা ভাইর দোষ

সপ্তক-Saptak 🌿

10 Oct, 17:02


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/185 ]


[ পঞ্চম পর্ব ]


লাইব্রেরির কাছে এসে এক জায়গায় বাইক দাঁড় করিয়ে আয়ান আর নিতুল নেমে পড়ে। আজ শুক্রবার হওয়ায় লাইব্রেরিতে ভীড় বেশি। ভীড় বেশি হলে কী হবে, বেশিরভাগ লোকই লাইব্রেরিতে এসেছে শুধু ফটোশ্যুট করতে। বই হাতে নিয়ে "মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছি" এমন ভাব করে ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করাই তাদের কাজ। এরচেয়ে বেশি বইয়ের সাথে তাদের আর সম্পর্ক নেই। এস্টেথিক লাগে না কী দেখতে। অনেকে স্যুডো বিবলিওফাইলও সাজে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অমুক বই পড়ে ফেলেছে, অমুক বইয়ের তমুক ক্যারেক্টার তার পছন্দ, অমুক লেখকের নামে কেউ কিছু বললে সে রেগে যায় তো তমুক লেখককে দেখতেই পারে না - এসব চলে তাদের মাঝে। যখন সত্যি সত্যি তাদের জিজ্ঞেস করা হয় - তাদের পছন্দ বা অপছন্দের কারণ, তখনই তব্দা খেয়ে যায়। এমন লোককে বিরক্ত লাগে আয়ানের। সে গম্ভীর ভাবে লাইব্রেরির শেলফগুলোর দিকে দেখতে থাকে। তার চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। লাইব্রেরিতে ঢুকেই আয়ান আর নিতুল আলাদা হয়ে পড়ে। দুজনেই ভাগ হয়ে নিজ নিজ পছন্দের সেকশনে খোঁজ চালায়।

আয়ান একটা বই হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা উল্টে পাল্টে দেখছিলো। নিতুল ততক্ষণে তার পাশে এসে দাঁড়িয়ে তার কাঁধে হাত রেখে বললো, "ভাই, শোন। এদিকে আয়।" নিতুলের ইশারায় মুখে কিছু না বলেই তার পেছন পেছন যেতে থাকে আয়ান। নিতুল এক জায়গায় থমকে দাঁড়িয়ে বলে, "ডান দিকে তাকা।" ডান দিকে তাকিয়ে কী দেখবে সেটা কিন্তু সে বলে না। আয়ান তাকায় সেদিকে। দেখে, একটা মেয়ে। নীল শাড়ি পরা। মেয়েটার সমগ্র অস্তিত্ব জুড়ে যেন সৌন্দর্যের ঢেউ বইছে। মেয়েটার উচ্চতা পাঁচ ফিট তিনের মত হবে। খোলা চুল পেছন দিকে কাঁধ পেরিয়ে পিঠ অবধি গেছে।
এছাড়া মেয়েটার চওড়া কপাল, সরু নাক, গোল চোয়াল আর পাতলা ঠোঁট। শাড়ির সাথে ম্যাচ করে কানে নীল রঙের ঝুমকোও আছে। সাথে দুটো মেয়ে আছে, যাদের সাথে কথা বলছে আর থেকে থেকে মুচকি হাসছে। আশেপাশের সবার দৃষ্টি যে আকর্ষণ করেছে সেটা লোকজনের মুখের দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছিল। ওপাশ থেকে নিতুল আয়ানকে একটা চিমটি দিল।

- কীরে! চোখ দেখি সরছেই না, হ্যাঁ?

- এ তো সাক্ষাৎ নীল পরী!

- তাতো বটেই। চল, আলাপ করি।

- অ্যাঁ?

- হ্যাঁ, চল।

- সেকী, ধুর! না, না। ছ্যাঁচড়া ভাববে।

- আরে ভাবলেই বা কী? পাত্তা না দিলে চলে আসব। ব্যস!

- না, ভাই। মাফ কর। বই কিনতে এসেছি। বই কিনে চলে যাব। মেয়েদের ডিস্টার্ব করা ঠিক না।

- এত ভয় আর লজ্জা নিয়ে জীবনে বাঁচা যায় না, বুঝলি? আর আলাপ করতে যাওয়া আর ডিস্টার্ব করা এক নয়।

- না, ভাই।

- আরে, চল তো।

আয়ানের হাত ধরে টান দিয়ে সামনের দিকে এগোলো নিতুল।


[ চলবে......... ]


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

10 Oct, 03:13


একটি আদর্শ কন্যা সন্তানের পিতা দুনিয়া এবং আখেরাতের সবচেয়ে গর্বিত পিতা।

যে দিন আমার বন্ধু সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মেয়ের মাথায় নাইন এমএম পিস্তল ঠেকিয়ে জামায়াতের নেতাদের রায় নেওয়া হয়। সেদিন রাত আনুমানিক ২ টা বাজে সিনহা আমাকে কল দিয়ে পুরো ঘটনা টা বলে এবং সে আপসোস করে আমাকে বলে (বন্ধু আজ তারা পুরো মুসলিম জাতির কাছে আমাকে ভিলেন বানিয়ে দিয়েছে। তখন আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি তাদের পরের টার্গেট আমি। আমার মেয়েটা ছোট তখন সে ক্লাস নাইনে পড়ে তাই এনিয়ে আমি আমার মেয়েকে সাবধান করতে গিয়েছিলাম। তখন আমার এ-ই ছোট্র মেয়েটি আমাকে বলে..



বাবা আমি জানি তুমি আমাকে নিয়ে খুব টেনশনে আছো। বাবা আমি এটাও জানি সিনহা আঙ্কেলের মেয়ের মতো কেউ হয়তো আমার মাথায়ও পিস্তল ঠেকিয়ে তোমাকে অন্যায় রায় লিখতে বাধ্য করতে পারে।
কিন্তু বাবা জানো.? আমার স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ​​যখন সবার সামনে এসে তোমার প্রশংসা করতে থাকে তখন আমার এত ভালো লাগে যে বলে বোঝাতে পারব না।
বাবা কখনো যদি এমন হয় তুমি রায় লিখার সময় কেউ আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তোমাকে তাদের ইচ্ছে মতো রায় লিখতে বলে তুমি তাদের কথা শুনবে না।
বাবা তুমি তোমার রায়'ই লিখবে। যদি তখন ওই খারাপ লোকেরা আমাকে মেরে ফেলে তাহলে তখন তো আমি আল্লার কাছে চলে যাব। আর যখন আল্লাহর কাছে থাকব তখন আল্লাহকে আমি বলবো আল্লাহ যেন তোমার হায়াত বাড়িয়ে দেন এবং তুমি যেন তাদের বিচার করতে পারো।

.

আমি খুব শক্ত মনের মানুষ আমার চোখের পানি কখনো আমার সহধর্মিণীও দেখেনি কিন্তু সেদিন আমার মেয়ের মুখে এ-ই কথা টা শুনে ভাবতে লাগলাম জীবনে কোন ভালো কাজের প্রতিফল হিসেবে আল্লাহ আমাকে এই মেয়ে দিলেন।..আর নিজের অজান্তেই চোখের পানি বেরিয়ে আসে অনবরত।

- জাস্টিস এম রহমান

সপ্তক-Saptak 🌿

09 Oct, 18:25


কতবার'ই তো পালাতে চাই সব কিছু ছেড়ে,
চক্রাকারে ওই একই দিন, একই সন্ধ্যা, একই রাত একই চিন্তা।

এবার ঠিক পালিয়ে যাবো, ভাবতে ভাবতে আর পালানো হয় না কোথাও।

©️prionty

সপ্তক-Saptak 🌿

09 Oct, 18:15


আড্ডা গল্প ১০


মোহনঃ প্রতিবছর প্ল্যান করি ১০০ খানা মুভি দেখবো আর ১০০ খানা বই পড়বো। কিন্তু ঐ প্ল্যান করা পর্যন্তই ব্যাপারটা আটকে থাকে ; তা আর কাজে পরিণত করা হয় না।

সিরাজঃ ঠিকই বলেছিস।

মোহনঃ আমি হিসেব করে দেখলাম মাত্র তেরোখানা বই পড়েছি এই বছরে।

ম্যাক্সঃ আমার একুশটা হলো এই অবধি।

সিরাজঃ দারুণ! আমার তো একদম কম।  তিনটে মাত্র।

ম্যাক্সঃ বলিস কী! এত কম কেন ভাই?

সিরাজঃ হয় না ভাই সময়। যখন সময় হয় তখন আবার পড়ার মুড থাকে না।

মোহনঃ ফেসবুকটা বাদ দিতে হবে ভাই, যা বুঝছি।

ম্যাক্সঃ এখনও দিতে হবে ভাবছিস? এত মায়া কেন ভাই ফেসবুকের প্রতি?

মোহনঃ মায়া বড়ই ভয়ংকর!

ম্যাক্সঃ তুই ক'খানা বই পড়লি রাজু?

রাজুঃ আটচল্লিশটা।

মোহনঃ উসকি মা কি!!

সিরাজঃ সেরা ভাই।

ম্যাক্সঃ স্যালুট, গুরু। আর মুভি ক'টা দেখলি?

রাজুঃ বেশি না। ত্রিশটার মতো হবে আর সিরিজ তিনটা।

ম্যাক্সঃ আটচল্লিশ ভাই!! কী করে পারলি? অসাধারণ। তোর লিস্টটা দে তো।

রাজুঃ দিয়ে দেবো। কিন্তু কবীর আমার চেয়ে এগিয়ে।

মোহনঃ হোয়াট দ্য হেল!! কত?

রাজুঃ ওর বই হয়েছে আটাত্তরটা,  মুভি হয়েছে পঁয়ত্রিশটা আর সিরিজ দুটো মনে হয়।

মোহনঃ ও মাই.... [ সেন্সরড ]।

সিরাজঃ তোরা মানুষ না ডোরেমন ভাই?

ম্যাক্সঃ যাই হোক, মুভি আর সিরিজে তোদের বীট করতে পেরেছি। আমার মুভি হয়েছে ছাপ্পান্নটা আর সিরিজ সাতটা।

মোহনঃ ড্রিম, ভাই। ড্রিম।

রাজুঃ ওয়াও! খাওয়া।

সিরাজঃ একাডেমিক পড়াশোনায় মন দে ভাই তোরা। মুভি দেখনেসে ঘর নেহি চলতা।


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

09 Oct, 10:14


তিনি হবেন আমার তিলোত্তমা । সৌন্দর্য ধারণার সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে সে গড়া ।

সপ্তক-Saptak 🌿

08 Oct, 15:53


উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার করছে। নিজ মহিমায় উদ্ভাসিত নক্ষত্র যেনো নিজ তেজের অহংকারে আরও উজ্জ্বল হয়ে যাচ্ছে। কবীর বললো, "দিনের বেলায়ও তারা দেখতে চাস?"
জিজ্ঞেস করলাম, "কীভাবে?"
"ঐ যে সূর্য। একটা তারা।"
"লেইম।"


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

08 Oct, 15:53


সকাল অবধি

হোঁচট খেয়েও পড়ে যাইনি। সামলে নিয়েছি কোনোরকম। কী একটা ভাবতে ভাবতে হাঁটছিলাম। হোঁচটের সাথে সাথে ভাবনাটাও হারিয়ে গেছে। সূর্য এখনো ওঠেনি। কুয়াশায় ভরা চারদিকটা দেখতে আলাদাই ভালো লাগা কাজ করে। কিন্তু ঠান্ডায় কানটা জমে গেছে যেনো। হাত দুটো জ্যাকেটের পকেটে ঢুকিয়ে গরম রাখছি আর একটু পর পর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া কানে হাত রাখছি। জ্যাকেট পরার পরও শরীরটা কেঁপে উঠছে একটু পর পর। অথচ একটা পাগল প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চিতে গায়ে একটা কাপড় জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে। কাপড়টা একটু মোটা যদিও তবে আমার জ্যাকেটের কাছে ওটা কিছুই নয়। কীভাবে ঘুমাচ্ছে ও? ওর শীত করে না? রাস্তায় ঠান্ডার মধ্যে যাদের ঘুমোতে হয় তাদের কথা ভাবলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়।

প্ল্যাটফর্মের বাতিটা এখনো জ্বলছে। স্টেশনটা তিন বছর হতে চললো পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। আবার কবে রেল চলাচল শুরু হবে কেউ জানে না। স্টেশন মাস্টার আছে কিনা জানি না৷ একদিন বিকেলবেলা স্টেশন মাস্টারের চেম্বারে একটা লোককে ঢুকে কীসব করতে দেখেছি। সম্ভবত ঐ লোকটাই স্টেশন মাস্টার। তবে কি লোকটা কিছু না করেই বেতন পাচ্ছে? কে জানে! কবীর হাই তুলে বললো, " চল ভাই, সামনে বেঞ্চটাতে গিয়ে একটু বসি। "
আমার এখন বসতে ইচ্ছা করলো না। বললাম, " না না। সামনে যে পুলটা আছে ওটা পার হই আগে। তারপর বসা যাবে। "

কবীর কিছু না বলেই হাঁটতে থাকলো। হঠাৎ আমাদের পেছন দিক থেকে খসখস করে হাঁটার শব্দ পেলাম। কেউ হেঁটে আসছে। দুজনে একসাথেই ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকালাম। একটা সাদা মতো কী যেনো ভেসে আসছিলো। ভয় পাওয়া উচিত?
কিন্তু ভয় পেলাম না কারণ দুজন আছি। সাথে একজন থাকলে ভয় টয় লাগে না সাধারণত। প্ল্যাটফর্মে যে বাতিটা জ্বলছিলো সেটার সামনে সাদা জিনিসটা আসতেই বোঝা গেলো একটা লোক আসছে। আরেকটু কাছে আসতেই চিনতে পারলাম লোকটাকে। একটা লম্বা সাদা পাঞ্জাবি পরে রেলওয়ে মসজিদের ইমাম হেঁটে আসছেন। মসজিদের ইমামদের যতোই ঠান্ডাই লাগুক বা যতোই ঝড়-তুফান হোক মসজিদে হাজিরা দিতেই হয়। ওঁদের কাছ থেকে মোটিভেশন নিয়ে পড়াশোনাটা ঠিকঠাক করতে পারলে ভালো হতো। শুধু উনিই না, আমাদের সমাজে এমন অনেক কিছু আছে যেসব থেকে মোটিভেশন নেয়া যায়। কিন্তু নিই না। আমরা সামনের দিকে হাঁটা দিলাম। প্ল্যাটফর্ম পেরিয়ে রেল লাইন ধরে এগোতে লাগলাম। প্ল্যাটফর্মের বাতিটার আলো কিছু দূর হাঁটতেই ক্ষীণ হয়ে এলো। কবীর ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বাললো। ঠান্ডা আরও বাড়ছে।রেললাইনের একপাশে খোলা জমি। অন্য পাশে ছোটো ছোটো ঝুপড়ি ঘর আছে। ঘরগুলোর মাথার উপরে একেকটা গাছ গলা বাড়িয়ে সামান্য ঝুঁকে আছে। দুএকটা গাছের কঙ্কালসার পাতাহীন দেহ। গাছ টাছ চিনি না খুব একটা তাই নামগুলো বলতে পারছি না।
তখনই মসজিদ থেকে আজানের শব্দ শোনা যেতে লাগলো। আজানের শব্দ শুনে কেমন একটা ঘোর লেগে গেলো যেনো। হাঁটছি ঠিকই। আগের মতো অন্যমনস্ক হয়ে। ঐ যে হোঁচট খেয়েছিলাম যখন। মনে পড়ে গেলো এক রাতের কথা। একবার রাত্রিরবেলা এরকম ভোররাতের সময় প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিলো। ঘুম ভেঙে যাওয়ায় বারান্দায় বসে ছিলাম। কদিন খুব গরমের পরেই ওরকম ঝড় হচ্ছিলো তাই বারান্দায় বসায় ঠান্ডা হাওয়ায় শরীরটা ফুরফুরে লাগছিলো। তখনই এরকম আজানের শব্দ শোনা যেতে লাগলো। মনোযোগ দিয়ে শুনতে শুনতে আমার মনে কেমন যেনো একগাদা বিষণ্নতা এসে ভীড় করেছিলো তখন। কারণ জানি না। কান্না পেয়েছিলো তখন খুব। কেঁদেওছিলাম। আসলে আমার মনে হয়, আমাদের মন যখন খুব ভারি হয়ে যায় তখন প্রকৃতি আমাদের ওপর সদয় থাকলে মন হালকা করার কোনো না কোনো ব্যবস্থা করে দেয়। ঐদিন আমার কান্নাটা দরকার ছিলো। প্রকৃতিতে একটা বিশেষ উপাদান আছে যা এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কবীর বলে, " একটা বিশেষ শক্তি প্রকৃতিতে আছে। এই শক্তির একটা উৎস আছে। সেই উৎস কোথা থেকে কীভাবে কাজ করে তা আমাদের বোঝার মতো জ্ঞান নেই। তবে আমরা নিজেদের মধ্যে এই শক্তির প্রকাশ অনুভব করতে পারি মাঝেমাঝে। "

কুয়াশার জন্য সামনেটা ঝাপসা। কুয়াশা ভেদ করে চলেছি আমরা। পুলের কাছে এসে পড়তেই মাথার উপর দিয়ে একটা পাখি উড়ে গেলো। অন্ধকার কেটে গিয়ে আকাশটা গাঢ় নীল রঙে পরিণত হচ্ছে ধীরে ধীরে। পুলের ওপর বেশিক্ষণ বসা গেলো না। ঠান্ডা যেনো আরও বেশি জাঁকিয়ে ধরছে। আবারও উঠে সামনের দিকে পা বাড়ালাম দুজনে। আমাদের দুজনের কেউই হয়তো অগাস্ট সি দুপাঁর মতো নই। তবে শখ জাগতেই পারে। প্যারিসে হাঁটতে না পারলেও নিজ দেশেই এরকম নিশিযাপন করা যায়। আলো ফুটতে লাগলো একটু একটু করে। একটা গ্রামের মতো জায়গায় এসে পড়েছি। সামনে কবরস্থান আছে। সারারাত হেঁটে এলাম অথচ সামনে একখানা কবরও পড়েনি। দিনের আলোয় অনেক কিছুর ভয়ই তো কেটে যায়। দিনের আলো হচ্ছে স্বচ্ছ আলো। অকৃত্রিম আলো। দিনের আলো রোজ নিশ্চয়তা দেয় অন্ধকার কেটে যাওয়ার। অন্ধকার যতোই ঘনীভূত হোক, তারপরে আলো আসেই। তবে দিনও সবসময় রোদেলা হয় না। মেঘলাও হয়। রোদেলাও হয় তো। আশা রাখতে হবে। কার ওপর? নিজের অন্তরাত্মার ওপর। ঐ যে একটা শক্তি আছে নিজের মধ্যে, তার ওপর। আমি আর কবীর হাঁটতে হাঁটতে একটা খোলা জায়গায় গিয়ে দাঁড়াই। সূর্য আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে। আশীর্বাদ করছে।

সপ্তক-Saptak 🌿

05 Oct, 15:06


ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরি: “A World of Three Zeros” বইটির আলোকে আরেকটি নোবেল পুরস্কার যে কারণে পেতে পারেন!
ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি বিশ্বের কাছে “ড. ইউনিভার্স” নামে পরিচিত, তাঁর মাইক্রোক্রেডিট ধারণার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে একটি বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন। এই কাজের জন্য তিনি ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তবে তাঁর অবদান এখানেই শেষ নয়। ২০১৭ সালে প্রকাশিত তাঁর বই “A World of Three Zeros” এ, ড. ইউনুস একটি নতুন এবং সাহসী ধারণা উপস্থাপন করেছেন, যা তিনি “Three Zeros” থিয়োরি নামে পরিচিত করেছেন। এই থিয়োরি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নিয়ে গঠিত: Zero Poverty, Zero Unemployment, এবং Zero Net Carbon Emissions। এই ধারণা বাস্তবায়িত হলে এটি আবারও ড. ইউনুসকে নোবেল পুরস্কারের মঞ্চে নিয়ে আসতে পারে, এবং কেননা এই থিয়োরি আমাদের বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলির সমাধান হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
Zero Poverty: দারিদ্র্যের অবসান
ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরির প্রথম লক্ষ্য হল Zero Poverty, অর্থাৎ দারিদ্র্যের সম্পূর্ণ অবসান। তিনি বিশ্বাস করেন যে দারিদ্র্য কেবল অর্থনৈতিক সমস্যার ফল নয়, বরং এটি একটি সামাজিক সমস্যা যা সঠিকভাবে সমাধান করা সম্ভব। মাইক্রোক্রেডিট ধারণার মাধ্যমে তিনি দেখিয়েছেন যে কীভাবে ছোট ঋণ মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারে। এই মডেলটি দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কার্যকর একটি উপায় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এবং ড. ইউনুস এখন আরও বড় পরিসরে এই ধারণাকে প্রসারিত করতে চান, যাতে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের সম্পূর্ণ অবসান সম্ভব হয়।
Zero Unemployment: কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা
Three Zeros থিয়োরির দ্বিতীয় লক্ষ্য হল Zero Unemployment, অর্থাৎ বেকারত্বের সম্পূর্ণ অবসান। ড. ইউনুস বিশ্বাস করেন যে প্রত্যেক মানুষের কর্মসংস্থান একটি মৌলিক অধিকার, এবং এই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তিনি সোশ্যাল বিজনেস মডেলগুলোর ওপর জোর দেন। এই মডেলগুলো লাভের পরিবর্তে মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হয়, যা কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়ক। ড. ইউনুস মনে করেন যে এই মডেলগুলো যদি বৈশ্বিকভাবে গৃহীত হয়, তাহলে বিশ্বের সমস্ত মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
Zero Net Carbon Emissions: পরিবেশের রক্ষা
Three Zeros থিয়োরির তৃতীয় এবং সর্বশেষ লক্ষ্য হল Zero Net Carbon Emissions, অর্থাৎ কার্বন নিঃসরণকে সম্পূর্ণভাবে শূন্যে নামিয়ে আনা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে আমাদের গ্রহকে রক্ষা করতে হলে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস একটি জরুরি পদক্ষেপ। ড. ইউনুস বিশ্বাস করেন যে সোশ্যাল বিজনেস মডেলগুলোর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলোর প্রসার ঘটানো সম্ভব, যা কার্বন নিঃসরণ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। যদি এই মডেলগুলি বৈশ্বিকভাবে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমিয়ে পৃথিবীকে একটি সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ড. ইউনুস ইতিমধ্যে তাঁর মাইক্রোক্রেডিট ধারণার জন্য বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পেয়েছেন, এবং তিনি দেখিয়েছেন যে একজন ব্যক্তি কীভাবে বৈশ্বিক পরিবর্তন আনতে পারে। তাঁর “A World of Three Zeros” বইয়ে প্রস্তাবিত Three Zeros থিয়োরি, যা দারিদ্র্য, বেকারত্ব, এবং কার্বন নিঃসরণের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান প্রদান করে, নোবেল পুরস্কারের জন্য একটি শক্তিশালী প্রার্থীতা হতে পারে। এই থিয়োরি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী একটি টেকসই, ন্যায়সংগত, এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।
ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরি আমাদের সময়ের জন্য একটি প্রয়োজনীয় সমাধান হিসেবে দেখা যেতে পারে। যদি এটি বৈশ্বিকভাবে গৃহীত এবং কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এটি তাকে আরও একবার নোবেল পুরস্কারের সম্মান এনে দিতে পারে। তাঁর এই সাহসী এবং প্রয়োজনীয় ধারণা বিশ্বকে একটি নতুন পথে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে সকলের জন্য সমান সুযোগ, দারিদ্র্যমুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব পৃথিবী সম্ভব হবে।
ড. ইউনুস তাঁর কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে ইচ্ছুক একজন ব্যক্তি কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন। তাঁর “A World of Three Zeros” বইয়ে উল্লিখিত Three Zeros থিয়োরি শুধুমাত্র একটি ধারণা নয়; এটি একটি বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা যা আমাদের ভবিষ্যতকে পরিবর্তন করতে পারে। এই থিয়োরির জন্য তাঁর নোবেল পুরস্কারের যোগ্যতা নিঃসন্দেহে প্রাপ্য, এবং আমরা আশা করি যে বিশ্ব এটি গ্রহণ করবে এবং এই ধারণাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য একসাথে কাজ করবে।
Yusuf Chowdury

সপ্তক-Saptak 🌿

03 Oct, 16:40


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/177 ]


[ চতুর্থ পর্ব ]


আয়ানদের বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে একটা বড়সড় লাইব্রেরি পড়ে। সেখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের বই পাওয়া যায়। বইটই পড়ার অভ্যেস আছে আয়ানের।  হাতে কিছু টাকাকড়ি এলেই এই বই ঐ বই কিনে খরচা করে ফেলে। কাল রাতে নাজিয়াকে কোথাও একটা যে যাওয়ার কথা বলেছিল আয়ান - সেটা ঐ লাইব্রেরিতেই। দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া সেরে নিতুলকে ফোন দেয় সে।

- কীরে! কোথায়? কখন বেরোবি?

- ভাই, সবেতো খেয়ে উঠলাম। বিছানায় গড়িয়ে নিই খানিক।

- না, না। তাহলেই আর যাওয়া হবে না। এখন ঘুমোলে আর সন্ধ্যের আগে তোর ঘুম ভাঙবে না।

- আরে ভাঙবে, ভাঙবে।

- বিশ্বাস করি না। তুই এক্ষুণি রেডি হয়ে বের হ। আমিও রেডি হয়ে নিচ্ছি।

- ধ্যেত!

ফোন কেটেই তৈরি হয়ে নিতে লাগলো আয়ান। প্রথমে গায়ে একটা বাদামি রঙের শার্ট চড়ালো আর নিচে পড়লো সিলভার রঙের প্যান্ট। কেমন যেন বেমানান লাগছে ভেবে ঐ প্যান্টটা খুলে একটা কালো রঙের প্যান্ট পরলো সে। ব্যস! কালো রঙের প্যান্ট সব রঙের শার্টের সাথে মানিয়ে যায়। আয়ান দেখতে কেমন তার একটা বর্ণনা দিয়ে নিই। আয়ান দেখতে ফর্সা, মাথার চুল ঘন-শক্ত-খাড়া করা, চওড়া কপাল, মুখে গোঁফ-দাড়ি সমান করে ছাঁটা আর জিম করা শক্তপোক্ত শরীর। অত অবাক হবার কিছু নেই। আয়ান এমনিতে গোবেচারা ধরনের নিরীহ হলেও, মনে মনে ভারি সেয়ানা। ফিটনেসের দিকে খুব খেয়াল আছে। নিঃসন্দেহে সুদর্শনই বলা যায়। খালি ওর মুখচোরা স্বভাবের জন্যই ও নানান জায়গায় মার খেয়ে যায়।


রেডি হতে হতেই আরও দুবার ফোন করে নিতুলকে তাড়া দেয় আয়ান। নিতুল বিরক্ত হয়ে বলে, "শালা, আর একবার ফোন করেছিস তো নম্বর ব্ল্যাকলিস্টে রেখে দেবো।" আয়ান মনে মনে হাসে। আয়ানের বাইক আছে। নিতুল আয়ানদের বাসার নিচে পৌঁছতেই, নিতুলকে পেছনে বসিয়ে বাইক স্টার্ট করে দেয় আয়ান। মাঝেমাঝেই নিতুলকে নিয়ে বাইকে করে বেরিয়ে পড়ে আয়ান। আয়ান মনে করে বাইক রাইডিং এ দীর্ঘ রাস্তা পাড়ি দেবার যে মজাটা আছে, সেটা নর্মাল প্রাইভেট কার দিয়ে লং ড্রাইভে নেই। নিতুলকে নিয়েই বেরোয় কারণ নিতুল ছেলেটা বেশ রসিক আর মিশুকে। ওর সাথে কথা বলতে, ওর কথা শুনতে ভালো লাগে তার। নিতুলের সাথে ওর আলাপ হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে ঐ বইয়ের দোকানেই, যেখানে তারা যাচ্ছে। আয়ান আর্নেস্ট হেমিংওয়ের "দ্য ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী" বইটা উল্টে পাল্টে দেখছিল দেখে নিতুলই আগ বাড়িয়ে এসে কথা বলেছিলো। ঐ বইটা নাকি তার প্রিয় ছিল।  সেই থেকেই আলাপ। আয়ান নিজে থেকে জীবনে যেচে কারো সাথে আলাপ করে না। যেতে যেতে নিতুল কথা বলে ওঠে।


- রাতে বৃষ্টি হলেও এখন আকাশটা কী পরিষ্কার, দেখেছিস?

- হুম।

- আজকে কী বই নিবি?

- সায়ক আমানের একটা বই নেবো ভাবছি।

- আমি খালি ওঁর অডিও স্টোরিই শুনেছি। বই পড়া হয়নি। পড়বো কিনা ভাবছি।

- আমি কিনে নিই। আমারটা নিয়ে নিস। তুই কী কিনবি ঠিক করেছিস?

- নাহ! আগে যাই।

- সে-ই ভালো।

- হুম। আচ্ছা, আরেকটা কথা।

- কী?

- সেদিন রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে ম্যাক্স র‍্যাব নামক একজনের সাথে আলাপ হলো।

- কে ম্যাক্স র‍্যাব?

- তেমন করে তো চিনিনা। সেদিনই প্রথম আলাপ। কথায় কথায় জানতে পারলাম, ওদের নাকি একটা ক্লাব আছে। যারা ক্লাবের সদস্য সবাই বই পড়ুয়া। আমাকে জয়েন করতে বললো।

- কোথায় ক্লাবটা?

বাইকের সামনের দিকেই মুখ করে প্রশ্নটা করায় নিতুল আর সে'টা শুনতে পেলো না।


[ চলবে...... ]


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

26 Sep, 15:49


ভালোবেসেছি তাই


আগের পর্ব

[ https://t.me/MaxRab1/169 ]

[ তৃতীয় পর্ব ]


একপ্রকার বাধ্য হয়েই নীরবতা ভঙ্গ করতে প্রশ্ন করে আয়ান, " কী ভাবছো এত? "
নাজিয়া তার দিকে ফেরে। বলে, " না। তেমন কিছু না। "
আয়ান কী বলবে আর কিছু ভেবে পায় না। সময় কাটতে থাকে। দুজনেই আকাশের দিকে তাকিয়ে। নাজিয়ার হাতের সিগারেটটা ফুরিয়ে এসেছে প্রায়। আয়ান জিজ্ঞেস করে, " কাল তো ছুটি। কী প্ল্যান আছে কালকের? "
নাজিয়া উত্তর দেয় না কিছু। আয়ান দমে যায়। সে বুঝতে পারে নাজিয়া হয়তো একা থাকতে চাইছে। তাই বিরক্ত না করে ওখান থেকে সরে পড়তে চায়। তখনই নাজিয়া বলে ওঠে, " কী বললি শুনিনি। " আয়ান ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় ফের। বলে, " বললাম কাল তো ছুটি। কী প্ল্যান কালকের? " নাজিয়া বলে, " ও! নারে, ভাই। তেমন কোনো প্ল্যান নেই। তোর কী প্ল্যান? "
আয়ান বলে, " আমারও নেই তেমন কোনো।
আমাদের পাশের পাড়ার একটা ছেলে আছে। নিতুল নাম। ওর সাথে একটা জায়গায় যাওয়ার আছে। বিকেলের দিকে বেরোবো। "

নাজিয়ার সিগারেটটা ফুরিয়ে আসায় নিচের দিকে ফেলে দেয় সে। বলে, " তুই আসিফের সাথে এখন আর কথা বলিস না কেন রে? ঝগড়া হয়েছিল কোনো বিষয় নিয়ে? "
আয়ান মৃদু হাসির শব্দ করে বলে, " না, না। ঝগড়া কেন হবে? আসলে ওর লাইফ অন্য ট্র্যাকে চলে তো। আমার অন্য। তাই দুজন যে দুজনের সাথে সময় কাটাবো, কথা বলবো, সেটা আর হয় না এখন। "

নাজিয়া ফের একটা সিগারেট ধরায়। আয়ান সরে আসে ঐদিক থেকে। সরে এসে কোন এক পরিচিত হিন্দি গান গুনগুন করতে থাকে। আসলে সরে এসে ভালোই করেছে। কারো কারো একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার পথ থাকে না আবার কারো কারো একা থাকার অবসর থাকে না। একটু একলা থাকার স্পেস নিতেই বোধহয় নাজিয়া ছাদে এসেছিল। থাকুক সে। আর কথা বলে ডিস্টার্ব না করাই সমীচীন। নাজিয়া মেয়েটা ভালো। ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছে সে। আচ্ছা, নাজিয়া যদি তার গার্লফ্রেন্ড হতো তাহলে কেমন হতো? এলাকার সব ছেলেরা জ্বলে পুড়ে মরে যেত তখন। তার সকল পরিচিত হিংসুটে ক্লাসমেট, যাদের সে এতকাল বন্ধু ভাবতো, কিন্তু পরে দেখেছে সবাই তাকে হিংসে করে, সক্কলে তাকিয়ে থাকতো শুধু আর তাদের ভেতরটা জ্বলে পুড়ে আঙার হয়ে যেত। কী মজাটাই না হতো তখন! কিন্তু সে হওয়ার নয়। বয়সে বড় একটা মেয়ে তার গার্লফ্রেন্ড কী করে হবে? তার ওপর নাজিয়া তাকে ভাইয়ের নজরেই দেখে সবসময়। খামোখা এসব ভেবে কাজ নেই। সব সুন্দরী মেয়েদের নিজের গার্লফ্রেন্ড করে পাওয়ার চিন্তা তার মাথায় আসেই বা কেন ভেবে পায় না সে। তার চরিত্র কি খারাপ হতে শুরু করেছে? ছি, ছি! না। ভালো হতে হবে।

আচমকা একটা শীতল কিন্তু মৃদু বাতাস বইতে শুরু করে। দু একবার আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে দেখেও আয়ান। বৃষ্টি শুরু হবে বলে। নাজিয়ার দিকে তাকায় সে। কিন্তু ওর কোনো হেলদোল নেই। সে গলা উঁচিয়ে বলে, " বৃষ্টি শুরু হবে। " গলা উঁচিয়ে বলতে হলো কারণ ছাদের ঐ প্রান্ত থেকে অনেকটা সরে এসেছিল সে। নাজিয়াও জোরে বলে, " হ্যাঁ রে। থাকবি নাকি চলে যাবি? আমি যাই ঘুমোতে। " আয়ান বলে, " আমিও চলে যাব। " নাজিয়ার দ্বিতীয় সিগারেটও শেষ হয়েছে। এটাও নিচের দিকে ফেলে দিয়ে আয়ানের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়িয়ে চলে যায় সে। আয়ানও বিনিময়ে হাত নাড়ায়। নাজিয়া চলে যাওয়ার পর আয়ানেরও আর ছাদে থাকতে ইচ্ছা করে না। সেও চলে যায় নিচে।


[ চলবে...... ]


©® Max Rab

সপ্তক-Saptak 🌿

23 Sep, 18:30


How lucky they are 🥹

সপ্তক-Saptak 🌿

23 Sep, 07:18


আড্ডা গল্প ৯


মোহনঃ ভাই, জীবনে এত স্ট্রেস আর অশান্তি! এসব থেকে মুক্তি কীভাবে পাব?

ম্যাক্সঃ পানি খা আর নয়-দশ ঘন্টা করে ঘুমা। সব সর্ট হয়ে যাবে।

মোহনঃ ভাই.... না, থাক। কিছু বললাম না।

কবীরঃ কী আর বলবি? ম্যাক্স ঠিকই বলেছে।

মোহনঃ এক্সামের টেনশন, এই টেনশন, ঐ টেনশন সব পানি খেলেই সেরে যাবে? আর এত টেনশনে ঘুম হয়? ইয়ার্কি হচ্ছে? তোরা ভাই ভাল ছাত্র সবাই তাই আমার মত খারাপ ছাত্রকে নিয়ে খিল্লি ওড়াচ্ছিস। ঠিক আছে, ভাই। ঠিক আছে। মনে রাখব।

সিরাজঃ ভাই, তুই সাস্টের সফটওয়্যার নিয়ে পড়ছিস। মাথায় আছে তো? তারপরও নিজেকে খারাপ ছাত্র বলবি?

মোহনঃ তুই যদি আমার সিজি দেখতিস ভাই, তাহলে এ কথা বলতিস না।

ম্যাক্সঃ আর, হ্যাঁ আরেকটা কথা। ভুলেই গেছিলাম। দিনে কমসে কম একটা আপেল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

কবীরঃ ইয়ে মানে, আই লাভ ডক্টরস, দ্যাটস হোয়াই আই হেইট এপলস।

মোহনঃ একেই বলে কিসমত, ভাই। বুয়েট সিএসইও পেয়ে গেলি, সাথে ডাক্তার জিএফ। আহা! ষোলোকলা পূর্ণ।

কবীরঃ নজর দিস না [সেন্সরড]। তুই কাল রাতে নওশিনকে কী মেসেজ করেছিস আমাকে বলেনি ভেবেছিস?

সিরাজঃ কীরে, কীরে?

মোহনঃ আরে ক্যাজুয়্যালি দু চারটে কথা বলেছি।

কবীরঃ স্টোরির রিপ্লাইয়ে উর্দু শায়েরি লিখেছিলিস। নওশিন স্ক্রিনশট দিয়েছিল আমায়।

মোহনঃ ওটাকে সৌন্দর্যের প্রশংসা করা বলে।

কবীরঃ তোর অত করতে হবে না। ওর সৌন্দর্যের প্রশংসা করার জন্য আমি আছি।

মোহনঃ তুই কি ভয় পাচ্ছিস আমার উর্দু স্কিল দেখে নওশিন তোকে ছেড়ে আমাকে চুজ করে ফেলবে?

কবীরঃ নওশিন অত গবেট হলে ওকে আমিই চুজ করতাম না।

মোহনঃ তাহলে আর তোর ভয় কীসের?

ম্যাক্সঃ সেটাই তো। কবীর ভয় পাচ্ছিস কেন?

কবীরঃ আমি ভয় পাচ্ছি না [সেন্সরড]।



©® Max Rab