ব্রেকিংঃ
হামাস যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় গড়িমসি শুরু করেছে। পক্ষান্তরে লেবাননের গভীরে ইজরায়েল বোমাহামলা চালাচ্ছে।
সমীকরন বদলানো শুরু করেছে মাত্র।
ইরান সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে না যদিও, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েলবিরোধী প্রতিরোধ যুদ্ধের নাটের গুরু ইরানই।
এখন লেবানন-ইরাক ফ্রন্টকে দ্রুত উত্তপ্ত করা হবে, সম্ভবত জর্ডানকে ভুমিতেও চাপে ফেলা হতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে শান্ত-সুস্থির জর্ডানের চেয়ে বিশৃঙ্খল জর্ডানকে ইজরায়েলের জন্য বেশি ক্ষতিকর মনে করি। মূলত সাইকেস-পিকট চুক্তিতে জর্ডান আর লেবাননকে তৈরিই করা হয়েছে একদিকে আরব-অন্যদিকে তুর্কীদের ফিলিস্তিন অভিযানকে অন্তত একশো বছর পিছিয়ে দেয়ার মাস্টারপ্ল্যান করে, নয়তো এই দুটো রাষ্ট্রের কোন অস্তিত্বই থাকার কথা না। এরা ইজরায়েলের ফার্স্ট লেয়ার অফ ডিফেন্স হিসেবে কাজ করে। হিজবুল্লাহর কারনে লেবানন থেকে ইজরায়েল চেক খায়, হিজবুল্লাহর অনুপস্থিতিতে লেবানন জর্ডানের চেয়েও খারাপ হত।
এখন, এটা বিশ্বাস করার মত অনেক কারনই আছে যে ইরানের অধিকাংশ মিসাইল ছিল আধা বাতিল, এবং লোয়েস্ট গ্রেড। এর সুবিধা দুইটা।
১)নিয়ন্ত্রিত ক্ষতি, এর ফলে নেগোশিয়েট করতে সুবিধা
২)খরচ কম
এখন আমেরিকা সিরিয়াসলি হিসাবে বসবে, ইজরায়েলের জন্য তারা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে আগুন জ্বালিয়ে কত ট্রিলিয়ন খরচ করবে। সেক্ষেত্রে ইউরোপ আর ইন্দোপ্যাসিফিকে তাদের কতদুর টান পড়তে পারে।
ফ্রান্স ও জার্মানী সামনে ইউক্রেন-ল্যাটভিয়া-ফিনল্যান্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। ব্রিটেন-মেরিকা পুশ করবে মিডল ইস্টে, কিন্তু তারা কি সেজন্য ইন্দোপ্যাসিফিক চায়নাকে ছেড়ে দিতে রাজি আছে??
আপনার যত বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা থাকুক, সময়মত শক্তি প্রদর্শন না করলে আপনি শত্রুর হাতে মারা পড়বেনই।