আরিফুল ইসলাম

@arifulofficial1


আইডিয়া শেয়ারিং প্লাটফর্ম

আরিফুল ইসলাম

26 Sep, 10:53


মদীনায় একজন নারী সাহাবী ‘ইভটিজিং’ –এর শিকার হন!

.

তিনি গিয়েছিলেন ইহুদিদের মার্কেটে স্বর্ণ কিনতে। সেখানে দোকানী তাঁর সাথে খারাপ আচরণ করে। একপর্যায়ে তাঁর নিকাব অনাবৃত হয়ে যায়। এটা দেখে ইহুদিরা হাসাহাসি করে।

সেই মার্কেটে একজন পুরুষ সাহাবী ছিলেন। একজন মুসলিম নারীকে নিয়ে এমন হাসাহাসি দেখে তিনি রাগে সেই দোকানীকে হত্যা করেন। ইহুদিরা তাঁকে মারধর করে এবং তিনি শাহাদাতবরণ করেন।

এই ঘটনা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো।

ইহুদি গোত্র বনু কায়নুকা বদর যুদ্ধের সময় চুক্তি ভঙ্গ করেছিলো। তাদের ওপর পূর্বের ক্ষোভ ছিলো। কিন্তু, এবার মুসলিম নারী কেন্দ্রিক যে ঘটনা ঘটলো সেটা আর সহ্য করা হলো না।

অবরোধ করা হলো বনু কায়নুকা।

এভাবে একদিন-দুইদিন না, দুই সপ্তাহ অবরুদ্ধ থাকার পর বনু কায়নুকা আত্মসমর্পণ করলো। তাদেরকে মদীনা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হলো।

বনু কায়নুকার সাথে দ্বন্দ্বের পূর্ব-সূত্র ছিলো, তারপরও এখানে অন্যতম কারণ হিশেবে উল্লেখ করা হয় মুসলিম নারীর ইজ্জতহানী।

.

মক্কায় থাকাবস্থায় ইসলামের প্রাথমিক যুগে ইসলাম গ্রহণ করার কারণে এক দম্পতিকে হত্যা করা হয়। একজন নারীকে হত্যা করা হয়। তিনি ছিলেন সুমাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা, তাঁর স্বামী ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহু।

ইসলামের প্রথম শহীদ এই দম্পতি।

কিন্তু, এই ঘটনার পর আপনি দেখবেন না আবু জাহেলকে হুমকি দেয়া হয়েছে বা প্রতিবাদ করা হয়েছে বা আবু জাহেলের গোত্রকে আক্রমণ করা হয়েছে।
একজন দম্পতিকে দিন-দুপুরে হত্যা করার পরও সেটার ‘বিচার’ চাওয়া হয়নি। কোনো ধরনের প্রতিবাদ করা হয়নি।

তারমানে এই না যে মুসলিমরা সেটা মেনে নিয়েছে বা সেটাকে সমর্থন করেছে।

সেই দম্পতির যুবক ছেলে ছিলেন আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহু।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে ধৈর্যের উপদেশ দেন। তাঁকে সান্ত্বনা দেন।

যেই যুবক তাঁর মা-বাবা হারিয়েছে, সেই যুবককে তিনি লেলিয়ে দেননি। তিনি আকারে-ইঙ্গিতে বলেননি, তোমার মা-বাবার হত্যাকারীর প্রতিশোধ নিতে পারো।
এমন হলে দেখা যেতো নিজের জীবন বাজি রেখে আম্মার ইবনে ইয়াসির আবু জাহেলকে হত্যা করতেন; অন্তত চেষ্টা করতেন।

তখন মুসলিমরা দুর্বল। এমনটা যদি হতো, তাহলে বনু মাখযূমের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা হতো। যেই কয়জন সাহাবী ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তাঁদের ওপর চলতো নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার!

আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহু মক্কায় যতোদিন ছিলেন, তাঁর চোখের সামনে ঘুরতে দেখেন নিজের মা-বাবার খুনীকে। কিন্তু, তিনি কিছুই করতে পারেননি। এর প্রায় ১৪-১৫ বছর পর আবু জাহেলকে হত্যা করা হয় বদর যুদ্ধে।

মদীনায় যেখানে একজন নারীর ইজ্জতের ওপর আঘাত আসার সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধ ঘোষণা করেন, মক্কায় থাকাবস্থায় একজন নারীকে হত্যা করা সত্ত্বেও তিনি যুদ্ধের ডাক দেননি, জবাবদিহিতার জন্য আবু জাহেলের কাছে যাননি।

এমন না যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা সেই সময় সাহাবীরা সাহসী ছিলেন না। নাউজুবিল্লাহ!

বরং সেই সময় এমনটা করলে সেটার কনসিকুয়েন্স কী হতো সেটা তারা জানতেন।

যার কারণে মা-বাবা হারানো আম্মারকে বলেছিলেন, “সবর করো আম্মার, সবর করো।”

কিন্তু, মদীনার সেই নারীকে বা সেই সাহাবী, যিনি নারীকে বাঁচাতে গিয়ে শহীদ হন তাঁর পরিবারকে গিয়ে বলেননি- ‘সবর করো’।

যেকোনো ঘটনার প্রতিক্রিয়া একইরকম হবে না। সেটার প্রতিক্রিয়া নির্ভর করে আপনি কোন পরিস্থিতিতে আছেন।

আপনি মক্কা বিজয়ের পূর্বের মক্কার সমাজের মতো থাকলে আপনার প্রতিক্রিয়া থাকবে একরকম। মদীনায় থাকলে থাকবে আরেকরকম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে তিনটি সমাজ ছিলো। মক্কা বিজয়-পূর্ব মক্কা, আবিসিনিয়া এবং মদীনা।

আমাদের স্বপ্ন মদীনার সমাজ। কিন্তু, বর্তমান বিশ্বের মুসলিমরা কোথাও মক্কার সমাজে, কোথাও আবিসিনিয়ার সমাজে।

এজন্য এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর জড়িত এমন যেকোনো ইস্যুতে মুসলিমদের প্রতিক্রিয়া হবে সে কোন সমাজে আছে সেটার ওপর। নামাজ-রোজা মৌলিক সবকিছু সব জায়গায়ই এক থাকবে। কিন্তু, সামাজিক এবং রাজনৈতিক এক্টিভিজম সব সমাজে একরকম থাকবে না।

আরিফুল ইসলাম

12 Aug, 16:26


Visited the minority community in our union to offer support and reassurance, letting them know that they have nothing to fear and don't need to flee. We're with them.

আরিফুল ইসলাম

29 Jul, 04:33


রাসূলুল্লাহ ﷺ সাধারণত কারো নাম ধরে বদদুআ করতেন না। কিন্তু, একবার তিনি ৭ জন কাফিরের নাম ধরে বদদুআ করেন।

হাদীসের বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যাদের নাম ধরে বদদুআ করেন আমি তাদের সবাইকে বদরের কূপে নিহতাবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি।

আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টি রাসূলুল্লাহ ﷺ। তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচার করা হলে তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে যালিমদের নাম ধরে বিচার দেন।

আল্লাহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুআ কবুল করেছেন। মাযলুমের দুআ আল্লাহ সাথে সাথে কবুল করেন, কিন্তু সেটা আমাদের কাছে দৃশ্যমান হয় আল্লাহর নিয়মানুযায়ী।

রাসূলুল্লাহর ঐ দুআর অন্তত ২ থেকে ৫ বছর পর সেই সাতজন কাফির মারা যায় বদর যুদ্ধে।

আল্লাহ চাইলে তো সাথে সাথেই তাদের ফয়সালা করতে পারতেন। কিন্তু, আল্লাহ তাঁর নিয়মানুযায়ী, তাঁর দেয়া অবকাশ অনুযায়ী সেই বিচার দুনিয়াতে করেন, কিয়ামতের বিচার তো বাকি।

.

আল্লাহ পবিত্র কুরআনের একটি সূরা নাযিল করে জানিয়ে দিলেন ‘আবু লাহাব ধ্বংস হবে’। রাসূলুল্লাহ ﷺ–এর যুগের আর কোনো কাফিরের নামোচ্চারণ আল্লাহ পবিত্র কুরআনে করেননি। সেই আবু লাহাব তার ভাতিজাকে (ﷺ) কী না করেছে! তাঁর কলার ধরে টেনেছে, ঘরের সামনে আবর্জনা রেখেছে।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে একটি সূরা নাযিল করা সত্ত্বেও সেই আবু লাহাবের পরিণতি আসতে অন্তত ১২ বছর লাগে।

.

আবু জাহেল নির্মমভাবে হত্যা করে সুমাইয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা এবং ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহুকে। তাঁদের ছেলে আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি মক্কায় যতোদিন ছিলেন ততোদিন চোখের সামনে দেখতে পান তাঁর মা-বাবার হত্যাকারী আবু জাহেল কী আরামে ঘুরে বেড়াচ্ছে!

তাঁর মা-বাবার হত্যাকারীর পরিণতি দেখতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হয় অন্তত ১০ বছর।

.

ইসলাম গ্রহণ করার কারণে কী নির্মম অত্যাচার করা হয়েছিলো বিলাল ইবনে রাবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে! মরুভূমির প্রখর রোদের মধ্যে শুইয়ে পাথর চাপা দেয়া হতো। গরমে তাঁর শরীরের মাংস পুড়ার গন্ধ বের হতো!

বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহুকে অত্যাচার করতো উমাইয়্যা ইবনে খালাফ। তিনি লিটারেলি প্রতিশোধ নেন এই অত্যাচারের প্রায় ১৩ বছর পর!

.

আমি যখন সীরাত পড়ি, তখন হতাশ হই না। আমি বর্তমান নিয়ে আশা দেখি।

যখনই মনের কোণে হা-হুতাশ জাগে, এতো এতো মাজলুমের দুআ কি আল্লাহ শুনছেন না? মাজলুমের দুআ আর আল্লাহর মধ্যে তো পর্দা থাকে না। তাহলে কেনো আল্লাহ সাড়া দিচ্ছেন না?

তখনই সীরাতে চলে যাই। গিয়ে দেখি, আল্লাহ ঠিকই সাড়া দেন। আমি যখন, যেভাবে চাচ্ছি সেভাবে না; আল্লাহ সাড়া দেন আল্লাহর সুন্নাত অনুযায়ী।

মাজলুম হিশেবে আমার আপনার কাজ চেষ্টা করা, দুআ করা।

আল্লাহ সাড়া দিবেন এই ইয়াক্বিন রাখা।

সাড়া দিচ্ছেন না কেনো, আল্লাহ কি সাড়া দিবেন না –এসব ‘তর্ক’ বান্দা হিশেবে আমাদের মানায় না।

আরিফুল ইসলাম

23 Jun, 07:12


ভার্সিটিতে চান্স পাইয়া এলাকায় ঢাক ঢোল বাজাইছো, গর্বে পা মাটিতে পড়ে নাই, যারে পাইছো মোটিভেশান ঝারছো, তোমার বাপে এলাকার দোকানে অহংকার দেখাইছে। পোলা ভার্সিটি পড়ে দেইখা দোকানদার চায়ের কাপটা তিনবার মুইছা দিছে, পরাটা আরেকটু কড়া কইরা ভাইজা দিছে।

তোমার মায়ের পাশের বাড়ির ভাবীর কাছে পোলার ভার্সিটি জয়ের গাল-গল্পের কারণে, ঐ বাড়ির পোলা-মাইয়া পাঁচটা বেতের বাড়ি বেশি খাইছে। তোমার পা ধোয়া পানি খাওয়ার কথা শোনা লাগছে মায়ের কাছে।

তো, গ্রামবাসী তোমার বিরাট ভার্সিটিতে পড়ার বদৌলতে একটা বিরাট চাকরির আশা করতেই পারে৷ তাদের মধ্যে এই আশা তো তুমি দিছো, তোমার বাপের ঢাক ঢোল পেটানোই দিছে।

এখন চাকরির কথা জিজ্ঞেস করলে, তোমার ইগোতে লাগতেছে। আমারও লাগতেছে ভাই। তো, বড় চাকরি হইলে বিশাল ক্ষমতা এই জিনিস চাষা-ভূষার মাথায় কে ঢুকাইছে? তিন বেলা ভাতের স্ট্রাগল করে যে সব লোক, তাদের মধ্যে বিসিএস ক্যাডার মানেই জগতের বাদশা- এ ধারনা কে দিছে? ভার্সিটিতে পড়লেই চাকরি আর চাকরি- অক্ষরজ্ঞানহীন লোকগুলা এই থিউরি জানার জন্য শহরে এসেছিল?

গ্রামের লোকজন খারাপ। তো, দুইদিনের শহরে থাকা হে মহান গাঁইয়া, তুমি ও তোমার বাপ-চাচা ভালো হইলে, বাকি গ্রামবাসীরাও ভালো হইতো। এ কথা কও না ক্যান?

এখন, গ্রামের লোকদের একতরফা দোষ দিয়া নগরকেন্দ্রিক, এককেন্দ্রিক, স্বার্থান্ধ শহুরে ফালতু জীবনকে গ্লোরিফাই করে সাইডে চাপার ধান্ধাটা খুব বাজে লাগলো। খুব বাজে।

গ্রামে অনেক ঝামেলা আছে সত্য। অনেক বিড়ম্বনা আছে। পরের পিছে আঙুল দেয়া বহু লোক গ্রামে থাকে।

কিন্তু, এসব ঝামেলার কোন কিছুই শহুরে জীবনকে এত ব্যাপকভাবে গ্লোরিফাই করতে যথেষ্ট নয়। গ্রামের জীবনকে তাচ্ছিল্য করার জন্য যথোপযুক্ত নয়।

✍️ মোস্তফা আল হুসাইন আকিল

আরিফুল ইসলাম

10 Jun, 07:28


পোস্টার ও ক্যাম্পেইন আইডিয়া:

১।
যে দোকানেই থাকবে কোক
সে দোকানই বয়কট হোক
২।
কোকাকোলাকে বিদায় দিন
মুসলমানের পক্ষ নিন
৩।
আবার উদরে ঢালছো কোক?
সয়ে গেছে ভাই-হত্যার শোক?
৪।
এবারেই কোকের দিন ফুরাবে
বাঙালি মুসলমান জবাব দেবে
৫।
তুমি নাকি একজন কোক ভক্ত?
কোক নয়, খাচ্ছ ভায়ের রক্ত।
.
Mehedi Hasan ভাইয়ের সাথে আমি আরও কয়েকটা এড করছি :
৬।
যে খায় পেপসি কোক
ইহুদির সাথে তার হাশর হোক
৭।
কোকাকোলা গোল্লায় যাক
ওদের হাতে রক্তের দাগ
৮।
যারা কোকের পক্ষ লয়
তারা আমাদের বন্ধু নয়
৯।
ভুলে গিয়ে ভাইয়ের শোক,
কোকাকোলায় দিচ্ছো ঢোক?
১০।
খাবার আগে যাচাই করি
কোকাকোলায় লাত্থি মারি
১১।
পেপসি কিংবা কোকাকোলা
ইসরাইলের ঘরের পোলা

✍️ জাকারিয়া মাসুদ

আরিফুল ইসলাম

10 Jun, 07:13


শুধু হুজুগে বাংলাদেশিরাই কি দু দিন পর পর বয়কট বয়কট করে?

না।

বরং বাংলাদেশের লোকজন বলতে গেলে বয়কট কমই করে। পৃথিবীতে গড়ে প্রতি ৫ সেকেন্ডে একটা করে বয়কট আন্দোলনের ডাক আসে। মানে, আমি এই স্ট্যাটাস লিখতে লিখতে পৃথিবীর দশ জায়গায় কমপক্ষে ১০ টা বয়কট মুভমেন্ট শুরু হয়ে গেছে।

কাজেই, বয়কট করলেই যেসব জ্ঞানীরা বাংলাদেশের লোকজনকে হুজুগে বলে লো ফিল করাতে চান, তাদের কথায় কান দেওয়ার দরকার নাই।

বয়কট আপনি একা করতেছেন না।

এই মুহূর্তে পৃথিবীর ৩৮% মানুষ কোন না কোন বয়কট আন্দোলনের সাথে জড়িত। নিজেকে যখন খুব একা মনে হবে, তখন ভাববেন, আপনি মোটেও একা নন। বরং এই পৃথিবীর ২৫০ কোটি মানুষও আজ পণ্য কেনার সময় চেক করে তারপর পণ্য কিনতেছে।

ধরেন, আপনাদের ফ্রেন্ড সার্কেলে মোট ৬ জন আছেন। বাট আপনি একাই কোক বা একুয়াফিনা বাদ দিতেছেন। আর বাকি ৫ জন কোকও ছাড়তেসে না, একুয়াফিনাও ছাড়তেছে না। আপনার কি হতাশ হওয়া উচিত?

না। বরং আপনার আরো জোরেশোরে কোক বর্জন চালাইয়া যাওয়া উচিত।

কেন?

কারণ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল সায়েন্স এর গবেষক এরিকা কেনোয়েথ বলতেছেন, কোন পলিটিক্যাল মুভমেন্ট সফল হতে সাড়ে তিন শতাংশ মানুষের ইনভল্ভমেন্ট লাগে।

মানে ১০০ জনের মধ্যে ৯৬ জনও যদি কোক খায়, ৪ জনও যদি ঠিকঠাক বর্জন করে, তাহলেই এই আন্দোলন একদিন সফল হয়ে যাবে। কাজেই, দোকানে স্তূপ করে রাখা কোকের বোতল যেন আপনাকে হতাশ না করতে পারে।

শুধু কোক না, যারা একুয়াফিনা পানি খান, তারাও কিন্তু দিনশেষে রক্তই খাচ্ছেন। পানির রঙ সাদা বলে আমরা যেন তার ভেতরের রক্তটুকু দেখতে ভুলে না যাই।

দেখেন, একটা দেশের ৪০ হাজার মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা বেঁচে আছে, তারাও না খেয়ে, দুর্ভিক্ষ, রোগ আর শোকের মধ্যে দিয়ে বেঁচে আছে। ছেলে মেয়েরা গালে নাম লিখে রাখতেছে, যেন মরার পর তার লাশ খুজে পাইতে সহজ হয়।

যারা আমার আপনার ভাই বোনকে এক ফোঁটা পানি খাইতে দিতেসে না, আপনি তাদের বিরুদ্ধে যাইয়া সামান্য একটা সফট ড্রিংকসই যদি স্যাক্রিফাইস করতে না পারেন, তাহলে আপনি মানুষ হলেন কী করে?

✍️ সাদিক

আরিফুল ইসলাম

10 Jun, 06:25


কোকের ব্যাপারে এই মুহুর্তে ব্যাপক নেগেটিভ প্রচারণা চালানো উচিত। সেক্ষেত্রে শর্ট ফিল্ম ও ডিজাইন হলো মোক্ষম একটা মাধ্যমে। শর্ট ফিল্মের ৩টা আইডিয়া আমি দিচ্ছি-

দৃশ্য-০১
দোকানে গিয়ে ড্রিংক কিনতে চাইলেন। দোকানদার কোক দিল। আপনি সেটা ফিরিয়ে দিয়ে অন্য কোনটা চাইলেন এবং কেন ফিরিয়ে দিলেন দুই/তিন বাক্যে কারণটা বলে দিলেন। দোকানদারও বলল, সামনে থেকে সে আর এটা বেচবে না।

দৃশ্য-০২
রাস্তায় একজনকে কোক খেতে দেখলে তাকে থামালেন এবং কোকের ইস্র কানেকশনের বিষয়টা বললেন। সে তখন ঘৃণা ভরে এটা ছুঁড়ে মারল।

দৃশ্য-০৩
'আমি কোক এবং পেপসিকো কোম্পানির সকল প্রোডাক্টকে ঘৃণা করি। এটা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন' কথাটা ভিডিও আকারে রেকর্ড করুন এবং ছড়িয়ে দিন। এটি যেন ট্রেন্ড হয়ে যায়।

----------

যারা ভালো ডিজাইন বানাতে পারেন, তারা কোককে বয়কট করার উপর বিভিন্ন আইডিয়ার ডিজাইন বানাতে পারেন। মানুষের ছবিতে চোখ মুখ দিবেন না। এগুলোর কোনো কোনোটা শর্ট ভিডিওর কন্টেন্টও হতে পারে। আমি কিছু নমুনা বলে দিচ্ছি-

১. কোকের বোতলের ভিতরে ফি‧লি‖স্তিনি শিশুদের রক্তাক্ত দেহ, বোতলের মুখ দিয়ে পানীয় আকারে বের হয়ে আসছে তাদের রক্ত।

১. কোকের একটা ফ্যাক্টরি, যেটা ফি‧লি‖স্তিনিদের উচ্ছেদ করা বসতভিটায় তৈরি।

৩. কোকের বোতলে বুট জুতা দিয়ে লাথি মারা পায়ের ছবি। ক্যাপশনে হবে, আমরা কোক খাই না।

৪. কোক কেউ কমোডে ঢালছে। ক্যাপশন হবে- কোকের উপযুক্ত স্থান টয়লেট, আপনার পেট নয়।

৫. কোকভর্তি একটা দোকান। দোকানদার মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। ক্যাপশন- মানুষ আর কোক খায় না। ডিলারদের মাথায় হাত।

৬. দোকানদার ও কাস্টমারের কথোপকথন দিয়ে একটা পিক-
'ভাই একটা কোক দেন।'
'ফি‖লিস্তি‧নিদের রক্ত আমি বেচি না।'

৭. দুই বন্ধুর কথোপকথন দিয়ে একটা পিক-
'দোস্ত কোক খাবি?'
'হারপিকের বিকল্প আমি খাই না।'

৮. এক ছেলে কোক খাচ্ছে। বন্ধু এসে বলছে, ছিহ! তুই কোক খাস? কী লজ্জার কথা!

৯. ডাক্তারের চেম্বারে রোগী এসেছে।
'ডাক্তার সাব, পেটের ব্যাথায় মরে গেলাম।'
'নিশ্চয়ই আপনি কোক খেয়েছেন। সেজন্যই এই অবস্থা!'

১০. বউ বলছে, 'এই শুনো, আসার সময় একটা হারপিক নিয়ে এসো!।
'আমার আসতে দেরি হবে। আপাতত মেহমানের আনা কোক ঢেলে টয়লেট পরিষ্কার করে নাও। ওটা হারপিকের মতো কাজ করে।'

-------

এছাড়া যারা ডকুমেন্টারি বানান, তারা সম্প্রতি প্রকাশিত কোকের এডের লাইন ধরে ধরে পয়েন্ট আউট করুন। কীভাবে তারা মানুষকে বোকা বানাচ্ছে।

- আবদুল্লাহ আল মাসউদ

আরিফুল ইসলাম

09 Jun, 19:56


এখানে যে বললো, ফিলিস্তিনে কোকের ফ্যাক্টরি আছে। অই ফ্যাক্টরি হচ্ছে ওয়েস্ট ব্যাংকে, গাজাতে না। বেসিক্যালি ইজরায়েল সরকার ওয়েস্ট ব্যাংকের ফিলিস্তিনের উচ্ছেদ করে অই জায়গায় কোকাকোলাকে ফ্যাক্টরি বসানোর অনুমতি ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে।
সুতরাং ইজরায়েলের এত জায়গা থাকতে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে অই জায়গায় ফ্যাক্টরি বসানো কোকের উদ্দেশ্যপ্রণীত কাজ।
এই কাজটাই কি এনাফ না কোক'কে বয়কট করতে?

✍️ Shafin Ahmed

আরিফুল ইসলাম

09 Jun, 19:52


কোকের একটা নতুন এড দেখলাম।
সেখানে তারা বলছে- ফিলিস্তিনে তো কোকের একটা ফ্যাক্টরীই আছে!

বুঝাতে চাচ্ছে, ওরা ফিলিস্তিনের পক্ষে!

কিন্তু ওরা যেটা বললো না, সেটা হলো: ফিলিস্তিনীদের কাছ থেকে দখল করা ভূমিতেই ওরা ফ্যাক্টরী করেছে। আতরতে।

আর কোকাকোলা কোম্পানী তো ফিলিস্তিনকে দেশ হিসবেই স্বীকার করেনা।

✍️ Tahmidul Islam

আরিফুল ইসলাম

09 Jun, 13:20


কুরবানির গরু কেনার সময় যাচাই-বাছাই করে কিনুন। দামদর করে কিনুন।

কিন্তু, কেনার পর দাম নিয়ে আফসোস করবেন না।

বেশি দাম হয়ে গেলো কি-না? এই বাজার থেকে না কিনে আরেক বাজার থেকে কিনলে আরো কম দামে পেতেন কি-না এই ধরনের আফসোস বাদ দিন।

অনেকেই আপনার কাছে দাম জানতে এসে এমন মন্তব্য করবে, যা শুনে আপনার আফসোস হবে- "হায়! হায়! এতো দাম দিয়ে কেনো কিনলাম!"

সবসময় মনে রাখবেন, কুরবানি করাটা ইবাদত।

আপনি সেই ইবাদতের উদ্দেশ্যে পশু কিনেছেন।

ব্যবসা করার জন্য না।

আপনি যদি ১০ হাজার টাকা বেশি দিয়েও গরু কিনেন, এটাকে লস না ভেবে চিন্তা করুন আল্লাহর রাস্তায় ১০ হাজার টাকা বেশি ব্যয় করার সুযোগ পেয়েছেন।

একই কথা অন্যের ক্ষেত্রে।

কেউ বেশি দামে গরু কিনলে তাকেও এমন মন্তব্য করার দরকার নেই যা শুনে তার আফসোস হয়।

কুরবানি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আল্লাহ সন্তুষ্ট হলে আমাদের কুরবানি স্বার্থক।

আরিফুল ইসলাম

08 Jun, 05:45


তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর সম্পদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতেন। তবে, তাঁর চিন্তা আর বর্তমান সময়ের সম্পদশালী ব্যক্তিদের চিন্তার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

একদিন তাঁকে চিন্তিত দেখে একজন জিজ্ঞেস করলো, “কী হলো? আপনাকে এমন মনমরা দেখা যাচ্ছে কেনো? পারিবারিক সমস্যা?”

তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, “না, পারিবারিক সমস্যা না। আমার চিন্তা হচ্ছে সম্পদ নিয়ে।”
তাঁর দাদি বললেন,

“তাহলে সম্পদ দান করে দাও। এই সম্পদই যেহেতু তোমার চিন্তার কারণ, এটা দান করে দিলেই তো তুমি চিন্তামুক্ত হয়ে যাবে।”

তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ দাদির কথা আমলে নিলেন। তিনি তাঁর দাসীকে ডেকে বললেন তাঁর সম্পদ জড়ো করতে এবং গরীবদের খবর দিতে। তাঁর কথামতো সম্পদ জড়ো করা হলো।

তাঁর সম্পদ হিসেব করে দেখা গেলো ৪ লক্ষ দিরহাম। যা বর্তমানে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ!

তখন পর্যন্ত সেই সম্পদ ছিলো তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর জীবনের সমস্ত উপার্জন। সেগুলো জমা করে তিনি দান করে দেন!

আল্লাহর রাস্তায় যিনি সম্পদ দান করেন, আল্লাহ তাঁকে আরো সম্পদ দান করেন। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, দান করলে সম্পদ কমে না (বরং বাড়ে)।

তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার তাঁর সমস্ত সম্পদ দান করার পর পরেরবার আল্লাহ তাঁকে কয়েকগুণ বেশি সম্পদ দান করেন। এই সম্পদ লাভ করেন মূলত ইরাকে কৃষিক্ষেত ও ব্যবসা থেকে। তাঁর অর্থোপার্জনের উৎস ছিলো ইরাক কেন্দ্রিক।

একবার তিনি তাঁর একটি জমি বিক্রি করেন উসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে। জমির দাম ছিলো ৭ লক্ষ দিরহাম।

তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে দিনের বেলা ৭ লক্ষ দিরহাম আসে।

তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু এতো টাকা দেখে টাকার লোভে পড়েননি। তিনি ঐদিন মনে মনে বলেন, “একজন মানুষ এতো টাকা ঘরে রেখে সে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে না।”

তাই বলে এমন না যে এগুলো তিনি ঘরে না রেখে ব্যাংকে রাখবেন, নিরাপদ জায়গায় রাখবেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন সমস্ত টাকা মানুষকে দান করে দিবেন।

তাঁর খাদিমকে জানিয়ে দেন- রাতের মধ্যেই যেন সবগুলো দিরহাম মদীনার মানুষকে বন্টন করা হয়।

ভোর হবার আগেই তাঁর খাদিম এসে জানায়, তাঁর কাছে আর একটি দিরহামও অবশিষ্ট নেই। মদীনার রাস্তায় যাকে পাওয়া গেছে, তাকে দান করা হয়েছে।

তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এতো দানশীল ছিলেন যে, তাঁর দান করা দেখে মানুষজন অবাক হতো। কাবিসা ইবনে জাবির রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

“আমি তালহার মতো কাউকে এতো সম্পদ দান করতে দেখিনি!”

.

🟥 'কোটিপতি সাহাবি' বই থেকে

আরিফুল ইসলাম

11 May, 16:56


নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে দরিদ্রতা থেকে পানাহ চেয়েছেন। তিনি আল্লাহর কাছে দু'আ করেন:

"হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কুফর এবং দারিদ্র থেকে।" [সুনানে আবু দাউদ: ৫০৯০]

পাশাপাশি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে ধনাঢ্যতার জন্যও দু'আ করেন:

"হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হিদায়াত, তাকওয়া, চারিত্রিক নিষ্কলুষতা ও ধনাঢ্যতা চাইছি।" [সহীহ মুসলিম: ৬৭৯৭] 

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিভিন্ন হাদীস থেকে জানা যায়, তিনি স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ দিয়েছেন, মানুষকে দান করতে উৎসাহ দিয়েছেন।

তাঁর উৎসাহ-অনুপ্রেরণায় সাহাবিগণ কীভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, সেটা আমরা তুলে ধরেছি 'কোটিপতি সাহাবি' বইয়ে। 

ইন শা আল্লাহ, সাহাবিদের অর্থনৈতিক জীবন সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিবে বইটি।

আরিফুল ইসলাম

10 May, 09:49


‘কোটিপতি সাহাবি’ বইটি প্রকাশ হবার আগে, প্রকাশ হবার পর ফেসবুকে আমাকে নানাভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। এই বইটি লেখার কারণে আমার ফেসবুক জীবনে যতো কথা শুনতে হয়েছে, সম্ভবত আর কোনো কিছু নিয়ে আমার বিরুদ্ধে কেউ এভাবে বলেনি।

বইটি লিখেছিলাম খুব সাহস করে। সত্যি বলতে, এটার কনসিকুয়েন্স জানতাম বলেই কখনো ভেঙ্গে পড়িনি।

আমাদের সমাজে ওয়াজ মাহফিল থেকে শুরু করে মসজিদের খুতবা, বইপত্র থেকে শুরু করে ফেসবুক ইউটিউবে শুধু এটাই প্রচার করা হয়- ‘সাহাবিরা গরীব ছিলেন, ছেঁড়া জামা পরতেন’।

এমনিতেই মুসলিমদের মধ্যে ধন-সম্পদ উপার্জনের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা কাজ করে। ফলে, তারা এসব বয়ান ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে।

কিন্তু, এই বইটি ছিলো মানুষের প্রচলিত চিন্তায় আঘাত করার মতো।

এই বইয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছি- জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত বেশিরভাগ সাহাবি দুনিয়াতেই ছিলেন আজকের যুগের কোটিপতি।

তারা সম্পদ যেমন উপার্জন করেছেন, দুহাত খুলে দান করেছেন। দান করার সময় একবারও ভাবেননি যে, আমার সম্পদ কমে যাবে।

সম্পদের প্রতি তাদের মাইন্ডসেট ছিলো- ‘হাতে দুনিয়া, হৃদয়ে আল্লাহ’।

এমন না যে হাতেগোনা ৫-১০ জন সাহাবি সম্পদশালী ছিলেন। হ্যাঁ, ৫-১০ জন সবচেয়ে সম্পদশালী ছিলেন। কিন্তু, খাইবার বিজয়ের পর, উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর শাসনামলে প্রায় সবাই (হ্যাঁ, সবাই) সম্পদশালী হয়েছিলেন।

আমরা সাহাবিদের সেই সময়কার ঘটনা জানি না, যখন তারা সম্পদশালী হয়েছিলেন।

সম্পদশালী হবার পর তাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তনও এসেছিলো। কিন্তু, এই পরিবর্তন আমাদের মতো আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবার পর হালাল-হারামের তোয়াক্কা না করার মতো না। তারা সম্পদশালী হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর রাস্তায় দান করতে গিয়ে কার্পণ্য করেননি।

আগে যেখানে গরীব সাহাবিরা সামান্য মোহরানা, কুরআন মুখস্থের মাধ্যমে বিয়ে করতেন, পরবর্তীতে মোহরানাও বৃদ্ধি পায়।

আমরা সবাই ‘ফাতেমি মোহরানা’ জানি। ফাতিমা রা. এর মোহরানা ছিলো আমাদের সময়ের প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে, তাঁর মেয়ে উম্মে কুলসুম রাহি. –এর মোহরানা ছিলো আমাদের সময়ের প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকা! উম্মে কুলসুমকে বিয়ে করেন উমর রা.।

সাহাবিরা অভাব-অনটনে খেতে পারতেন না। আবার সাহাবিরাও একসাথে ৩০-৪০ টি উট জবাই করে, বছরে একজন সাহাবি ৩৬০ টি উট জবাই করে মানুষ খাওয়াতেন।

সবাই প্রচার করেন ‘রাসূলের ﷺ প্রিয় খাবার ছিলো লাউ’, অথচ ‘মাংসও যে ছিলো রাসূলের ﷺ প্রিয় খাবার’ এটা কাউকে বলতে শুনবেন না!

‘কোটিপতি সাহাবি’ বইটি প্রকাশিত হবার পর ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে, আলহামদুলিল্লাহ। আমি অসংখ্য রিভিউ পেয়েছি।

আজ পর্যন্ত এমন একটি রিভিউ পাইনি, যারা বইটি পড়েছেন এবং পড়ার পর তারা সমালোচনা করেছেন!

‘এই বইটি সবার ভালো লাগবে, কারো খারাপ লাগবে না’ –এমনটা আমি মনে করি না। কিন্তু, বইটি পড়ে সমালোচনা করেছেন এমন একজনও আমার চোখে পড়েনি।

বইটি নিয়ে যারাই এই পর্যন্ত নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, প্রত্যেকটি নেতিবাচক আক্রমণ আমাকে বহুগুণে শক্তিশালী করেছে, সাহস যুগিয়েছে।

বইটি লেখাটা তখন আমার কাছে জাস্টিফাই হয়েছে যে, আসলেই এই বইটি লেখা দরকার ছিলো।

এই যে মানুষ তার পুরনো দৃষ্টিভঙ্গি, সাহাবিদের সম্পর্কে ভুল ধারণা থেকে বের হতে পারছে না, সত্য ঘটনা রেফারেন্সসহ উল্লেখ করার পরও পড়ে দেখার সাহস করতে পারছে না, তারমানে এই বইটিতে আসলেই এমন এক সত্য আছে, যে সত্য মোকাবিলা করা সবার পক্ষে সম্ভব না।

ঠিক এই ভেবে আমি সমালোচকদের পাত্তা দেই না। সরি বাট নট সরি!

আজকের একটা পোস্টে দেখলাম- একজন আমাকে গালি দিতে চেয়েছে এই বইটি লেখার কারণে, আজ পবিত্র শুক্রবার বলে সে গালি দেয়নি।

আমার এতো ভালো লেগেছে কমেন্ট বক্স দেখে। যারা কমেন্ট করেছে, তাদের বেশিরভাগই বইটি পড়েছেন বা আমার লেখালেখির সাথে তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। তারাই ডিফেন্ড করছেন যে- বইয়ের সমালোচক বইটি না পড়ে যা লিখছেন সেটার ফলে বইয়ের সত্য মিথ্যা হয় না, বইয়ের ফ্যাক্ট এবং ন্যারেটিভ ভুল প্রমাণ হয় না।

বইটি যারা পড়েছেন, এমন অনেকেই হয়তো এই মুহূর্তে আমার এই লেখাটি পড়ছেন।

আপনাদেরকে অনুরোধ করবো, কমেন্টে দেয়া গুগল ফর্মে বইটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানান প্লিজ।

আমি খুব আগ্রহ নিয়ে বইটির ‘সত্যিকার পাঠকদের’ মন্তব্য পড়ার অপেক্ষায়।

https://forms.gle/QZVjyWbWKSnNPh2X8

আরিফুল ইসলাম

22 Apr, 07:58


একজন নারী সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

কিন্তু, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।

সেই নারী ছিলেন সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম সম্পদশালী, মদীনায় তাঁর বাড়ি ছিলো; এই যুগের 'বাংলো বাড়ির' মতো। মদীনার বাইরে থেকে আসা অতিথিরা তাঁর বাড়িতে বসবাস করতে পারতো।

তাঁর স্বপ্ন ছিলো উম্মুল মুমিনীন হবার। কিন্তু, কোনো কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে বিয়ে করেননি।

এই প্রসঙ্গে আল্লাহ পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতও নাযিল করেন- যারা রাসূলুল্লাহকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।

সেই নারী সাহাবী পরবর্তীতে আর কখনো বিয়ে করেননি!

তাঁর নাম উম্মু শারীক রাদিয়াল্লাহু আনহা। [তাবাকাতে ইবনে সা'দ: ৮/১১১]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় খাবার ছিলো ঘি।

তিনি প্রায়ই রাসূলুল্লাহর জন্য ঘি পাঠাতেন।

(সূরা আহযাব, আয়াত ৫০ এর তাফসিরে বিস্তারিত জানতে পারবেন)

আরিফুল ইসলাম

20 Apr, 06:44


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য আলাদা হাত খরচের ব্যবস্থা করে যান৷

খাইবার বিজয়ের পর প্রত্যেক স্ত্রীর নামে আলাদা করে বছরে ৮০ ওয়াসাক খেজুর এবং ২০ ওয়াসাক যব নির্ধারণ করেছিলেন। আরেক বর্ণনামতে, ১০০ ওয়াসাক শুধু খেজুরই বরাদ্দ দিয়েছিলেন। আরো ২০ ওয়াসাক দিয়েছিলেন যব।

🟢 এক ওয়াসাক= ৬০ সা'। আর এক সা' হচ্ছে ২.৪০ কেজি। তো এক ওয়াসাকের পরিমাণ হয় ১২২.৪ কেজি। তাহলে ১০০ ওয়াসাকে হয় বর্তমানের ৩০৬ মণ।

খেজুর ও যবের মন গড়ে যদি ৫০০০ টাকা করে ধরা হয় তাহলে হয় ১৫ লক্ষ টাকার বেশি।

🔴 সুতরাং, বর্তমান সময়ের টাকার অংকে বছরে নবিজী তাঁর স্ত্রীগণকে খরচ দিতেন মোটামুটি ১৫ লক্ষ টাকা। এই সম্পদের মালিক কিন্তু রাসূলের স্ত্রীরাই হতেন। রাসূল তাতে হস্তক্ষেপ করতেন না।

অর্থাৎ, খাইবার বিজয়ের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীগণ মাসিক লক্ষাধিক টাকার বেশি অর্থমূল্যের সম্পদ পেতেন।

যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করেন, তাহলে দেখবেন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার সময়কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার সম্পদ থেকে উপকৃত হয়েছেন। কুরআনে এই নিয়ে একটি আয়াতও আছে।

মদীনায় হিজরতের পর প্রথম ৬ বছরের (খাইবার বিজয়ের পূর্বে) আর্থিক অবস্থা এবং পরের আর্থিক অবস্থা একরকম ছিলো না।

প্রথমদিকে অভাব-অনটন ছিলো। কিন্তু, পরবর্তীতে খাইবার বিজয়ের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রীদের আর্থিক দিকটা ভালোভাবে নিশ্চিত করে।

তারমানে, স্ত্রীকে হাতখরচ দেবার ক্ষেত্রে স্বামীর সামর্থ্যের দিকটা গুরুত্বপূর্ণ এবং স্ত্রীর হাতখরচ যে প্রয়োজন, সেটা এই ঘটনা থেকেই বুঝা যায়।

বেশিরভাগ উম্মুল মুমিনীন সেই অর্থ দান করতেন, নিজেদের প্রয়োজন পূরণ করতেন।

📍 তথ্যসূত্র:

সহিহ বুখারি: ২৩২৮, সহিহ মুসলিম: ১৫৫১; সুনানে আবু দাউদ: ৩০০৮; আল মু'জামুল আওসাত্ব: ২/২০৫, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া: ৪/২০০; মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বল: ৭/৬৭, রাসূলের (সা.) সংসারজীবন, মুফতি শরিফুল ইসলাম নাঈম।

আরিফুল ইসলাম

18 Apr, 16:29


বিয়ের আগে একজন মেয়ের lifestyle cost জানাটা এই যুগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অনেক ছেলে জানেই না একজন মেয়ের হাতখরচ কতো হতে পারে।

একজন ছেলে এক শার্ট/পাঞ্জাবি পরে একই আত্মীয়ের বাড়ি, অনুষ্ঠানে একাধিকবার যেতে পারে। পকেটে টাকা না থাকলেও একজন ছেলে দিব্যি সপ্তাহখানেক চলতে পারে। কোনো অসুবিধা হয় না। কোথাও ঘুরতে গেলে শার্ট-প্যান্ট/পাঞ্জাবি পরেই ছেলে বের হয়ে যেতে পারে।

কিন্তু, একজন মেয়ের লাইফস্টাইল এমন না।

🚫 কোনো আত্মীয়ের বাড়ি একই ড্রেসে দুইবার যেতে চাইলে মেয়েদের মন সায় দেয় না।

আপনি হয়তো মনে করতে পারেন, আমার বউ তো পর্দা করবে।

হ্যাঁ, তা ঠিক। কিন্তু, একেকটি বোরকার দাম সম্পর্কে বিয়ের আগে হয়তো আপনার আইডিয়া না-ও থাকতে পারে।

📍 একেকটা বোরকার দাম যেমন ৭০০ টাকা হতে পারে, তেমনি ৫০০০ টাকার বোরকা পরুয়া মেয়ের অভাব নাই এদেশে।

একজন মেয়ে বাপের বাড়ি থাকাবস্থায় তার কাপড়, মেকআপ, হাতখরচ মাসে লাগতো ধরেন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার।

আপনি বিয়ের পর আপনার স্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক ব্যাপারে সিম্প্যাথি আশা করতে পারেন না।

হ্যাঁ, একজন মেয়ে যদি বুঝে যে আমার স্বামী তার সামর্থ্যানুযায়ী আমাকে দিচ্ছে, এতো আবদার করে কী হবে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।

কিন্তু, স্ত্রী যদি নিজ থেকে না বুঝে, এসব ব্যাপার বুঝাতে যাওয়াটা দাম্পত্য কলহের অন্যতম কারণ।

কারণ, খুব কম মেয়েই কারণ ছাড়া lifestyle cost এ স্যাক্রিফাইস করে!

মেয়ে বিয়ের আগে যেভাবে ব্যয় করতো, বিয়ের পর যদি অন্তত সেভাবে করতে না পারে তাহলে স্বামীর প্রতি তার আনুগত্যের মাত্রা কমতে থাকে, রাগ-ক্ষোভ বাড়তে থাকে।

🔴 কোনো বিষয়ে যখন ঝগড়া শুরু হবে, স্ত্রী তখন আপনার এই অপারগতার কথা তুলবেই তুলবে। আপনাকে খোটা শুনতে হবেই।

এজন্য বিয়ের আগে স্ত্রীর লাইফস্টাইল কস্ট সম্পর্কে ধারণা নিন।

এমন না যে এই প্রশ্ন সরাসরি জিজ্ঞেস করতে হবে।

কিছু প্যারামিটার আছে।

🟢 মেয়ে যদি মা-বাবার একমাত্র মেয়ে হয়, ভাইদের একমাত্র বোন হয়, তাহলে এই মেয়েকে নিশ্চয়ই তার বাপ-ভাই খুব আদর-যত্নে বড় করেছেন, চাহিদামতো সব দিয়েছেন। এই মেয়েরও এমন একজনকে বিয়ে করা উচিত, যে তার চাহিদা পূরণ করতে পারে।

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন- আপনি সেই পাত্র কি-না?

🟢 মেয়ের মা-বাবা দুজনই চাকরিজীবী।

এরকম মেয়ের ছোটো ছোটো চাহিদা সাধারণত অপূর্ণ থাকে না। বাবা সংসার চালালে মা তার মেয়ের আবদারগুলো পূরণ করেন।

♦️বিয়ের পর মেয়ে যদি তার বাপের বাড়ি থেকে হাতখরচ আনে, এটার ফল আপনাকে আজ না হলেও ২ বছর পর দিতে হবে৷

সুতরাং, বিয়ের আগে আইডিয়া করে নিন আপনার স্ত্রীর হাতখরচ সম্পর্কে।

এগুলো ঠিকমতো দিতে না পারলে অথবা মানসিকতা না থাকলে বিয়ের সিদ্ধান্তে তড়িঘড়ি করবেন না।

আরিফুল ইসলাম

16 Apr, 05:19


ইসলামের ইতিহাসে বিয়ের অনুষ্ঠান যেমন মসজিদে হতো, তেমনি যুদ্ধের ময়দানেও বিয়ে হতো! 

এমন একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ইসলামের ইতিহাসে বেশ প্রসিদ্ধ। 

যুদ্ধের সময় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। স্বামী চাইলেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নিতে৷ স্ত্রী বললেন, "আমরা তো এখনো শত্রুবাহিনীর নাগালের মধ্যে আছি। কিছুদিন পর না হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হোক?"

স্ত্রীর কথা শুনে স্বামী আস্তে করে বললেন, "কিন্তু, এই যুদ্ধে তো আমি শহীদ হয়ে যেতে পারি!"

স্বামীর এমন আবেগমাখা কথা শুনে স্ত্রী আর আপত্তি জানালেন না। 

একটি ব্রিজের ওপর ওয়ালিমার অনুষ্ঠান হলো। সৈন্যদের খাওয়াদাওয়া তখনো শেষ হয়নি।

ঠিক সেই মুহূর্তে শত্রুবাহিনী আক্রমণ করলো।

একজন শক্তিশালী রোমান সৈন্য মুসলিম বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানালো- "কে আছো আমার সাথে লড়বে?"

তার আহবানে সাড়া দিলেন নববিবাহিত সাহাবী, যার বিয়ের অনুষ্ঠান তখনো শেষ হয়নি। 

বিরত্বের সাথে যুদ্ধ করে সত্যি সত্যি শাহাদাতবরণ করলেন! 

আর সেই নারী? নববিবাহিতা নারী? বিয়ের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই যিনি বিধবা হলেন, তিনি কী করবেন? স্বামীর শোকে কান্নাকাটি? 

না, তিনি বরং নিজের কাপড় মজবুতভাবে কোমরে বেঁধে তাবুর খুটি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লেন। 

স্বামীর হত্যাকারীদের ওপর ক্ষিপ্র গতিতে ঝাপিয়ে পড়লেন। এমনকি ৭ জন রোমান সৈন্যকে হত্যা করলেন সেই নারী।

সেই নারী সাহাবির নাম ছিলো উম্মু হাকিম বিনতে হারিস রাদিয়াল্লাহু আনহা। তাঁর স্বামী ছিলেন খালিদ ইবনে সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু।

পরবর্তীতে সেই যোদ্ধা নারীকে বিয়ে করেন উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু। 

আরিফুল ইসলাম

13 Apr, 03:58


স্কুলজীবনে আপনি যা চাইতেন, এখন সেগুলো চান না। সেগুলোর জন্য দুআ করেন না।

স্কুলজীবনে হয়তো কোনো ছেলে/মেয়েকে পছন্দ করতেন। চাইতেন সে যেন আপনার গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড হোক। এখন হয়তো আপনি বিবাহিত। ঐ মেয়ে/ছেলেটির কথা মনেই পড়ে না!

স্কুল জীবনে মনে হতো ৫০০ টাকা হলে আমি কতো কিছু করতে পারতাম।

এখন হয়তো আপনি মাসে ১০০০০ টাকা উপার্জন করেন।

তখন আপনি চাইতেন ক্লাসের ফার্স্ট হতে, এ+ পেতে। এখন আপনি কর্মজীবনে বা সংসারজীবনে।

আপনি চাইলে মনে মনে একটা লিস্ট করতে পারেন। ক্লাস নাইন-টেনে থাকতে কী কী চাইতেন। এখন সেগুলো চান কিনা। দেখবেন, ৯০% জিনিসই আপনি পেয়েছেন অথবা পাননি বলে এই মুহূর্তে আফসোসও করছেন না; মেনে নিয়েছেন।

ঠিক তেমন আজকের দিনটাও।

আজ আপনি যা চাচ্ছেন, যেসবের জন্য দু'আ করছেন, সেগুলো পেলেও আপনার জীবন কাটবে, না পেলেও কাটবে। হয়তো ভালোও কাটতে পারে।

যে ছেলে/মেয়ে ছিলো আপনার ড্রিম বয়, ড্রিম গার্ল, আজ অনেকেই হয়তো তার সাথে বিয়ে না হবার জন্য শুকরিয়া আদায় করেন।

আমাদের জীবনে কোনো ব্যক্তি, বস্তু এতোটাই কাঙ্খিত না যে, সেগুলো না হলে, না পেলে আমাদের জীবন থেমে যাবে।

এই উপলব্ধি আপনার মধ্যে তৈরি হলে আপনি 'বর্তমান' উপভোগ করতে পারবেন। বর্তমানে যেভাবে আছেন, সেভাবে থাকার জন্য মন থেকে আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারবেন।

আরিফুল ইসলাম

06 Apr, 17:13


সুপারশপে ঢুকলে দেখবেন soft music বাজানো হচ্ছে। কিন্তু, soft music -ই কেনো বাজানো হয়?

এটার পেছনে মার্কেটিং সাইকোলজি আছে।

সফট মিউজিক বাজানো হলে এটার প্রভাবে কাস্টমার আস্তে আস্তে হাঁটে, বেশি সময় ব্যয় করে। আস্তে আস্তে হাঁটলে সে শপের প্রোডাক্ট ভালোভাবে দেখে, হাতে নেয়।

এটা কি বিক্রিতে প্রভাব ফেলে?

হ্যাঁ।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেদিন সুপারশপে মিউজিক বাজানো হয়, সেদিনের বিক্রি অন্যান্য দিনের তুলনায় ৩৮% বেড়ে যায়!

সুপারশপ শুধুমাত্র যেকোনো সফট মিউজিক ব্যবহার করলেই বিক্রি বেড়ে যায় না। তারা এটাও জানে কোন সময় কোন মিউজিক ব্যবহার করলে বিক্রির পরিমাণ আরো বাড়ে!

বাংলাদেশের বড়ো বড়ো সুপারশপ, কাপড়ের দোকানে ইতোমধ্যে এই ধরনের সাইকোলজিক্যাল মার্কেটিংয়ের প্রয়োগ করা হয়েছে।

কাস্টমার হিসেবে এগুলো আমরা জানলে প্রতিরোধ সম্ভব।

এজন্য কেউ কেউ পরামর্শ দেন- সুপারশপে ঢুকার সময় এয়ারপড ইউজ করতে।

আরিফুল ইসলাম

06 Apr, 13:46


Connacht –এর রাজা Ruaidrí Ua Conchobair –এর ৬ জন স্ত্রী ছিলো।

কিন্তু, খ্রিস্টান ধর্মযাজকরা ছিলো বহুবিবাহের বিরুদ্ধে। কে রাজা হবেন এবং কার রাজত্ব চলে যাবে এই নিয়ে ক্ষমতার অধিকারী ছিলো চার্চ।

Ruaidrí Ua Conchobair –কে চার্চের পক্ষ থেকে দুটো অপশন দেয়া হয়।

· ৬ জন স্ত্রীর মধ্যে ৫ জনকে তালাক দিয়ে একজনকে রাখতে। কেননা, চার্চ বহুবিবাহে বিশ্বাসী না। এতে করে তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।

· চার্চের আদেশ অমান্য করলে তার রাজত্ব চলে যাবে।

মজার ব্যাপার হলো, Ruaidrí Ua Conchobair তার ৬ জন স্ত্রীকেই রাখতে চান। যার কারণে রাজত্ব বিসর্জন দেন!

('সাহাবিদের বহুবিবাহ' বইয়ে বহুবিবাহের ইতিহাস নিয়ে একটি অধ্যায় থাকবে, ইন শা আল্লাহ। অনেকেই মনে করেন ইসলামেই বুঝি বহুবিবাহ আছে। কিন্তু, এটা মানব ইতিহাসের স্বাভাবিক ঘটনা ছিলো আজ থেকে ১০০ বছর আগেও।)