Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

@swami_someswar_anudhyan


১) ইউটিউব চ্যানেলঃ সাবস্ক্রাইব করুন
https://www.youtube.com/channel/UC6aChP4nw1k5YsrgywG5Kc

২) টেলিগ্ৰাম চ্যানেলঃ স্বামী সোমেশ্বরানন্দজীর প্রদর্শিত পথে দিব্যত্রয়ীর অনুধ্যান - "স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান।" প্রতিটি গ্রুপ বা চ‌্যানেলে একই পোস্ট করা হয়।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Oct, 03:15


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Oct, 00:25


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

23 Oct, 00:24


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: বুধবার, ৬ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৪০:১৮
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:১:৪৪
তিথি: (আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ) সপ্তমী দং ৪৯|৮ রাত্রি ঘ ১|১৯.
নক্ষত্রঃ পূর্ণবসু অহোরাত্র।
দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ আদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী অন্নদা ঠাকুরের জন্মতিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Oct, 14:33


প্রশ্ন︎ জীবনে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ, প্রতিকূল পরিবেশ। ভয় ও দুঃখ নিয়ে বেঁচে থাকা। কোনো দিশা পাইনা।

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●তোমার বড় চিঠিতে অনেক প্রশ্ন। সংক্ষেপে তাই মুল প্রশ্নটি তুলে দিলাম। আর গ্রুপের ওয়ালে উত্তর দিচ্ছি কারণ অনেকেরই উপকার হতে পারে।

নিজের দৈনন্দিন জীবনের দিকে তাকাও। কখন চা খাবে, বাজারে গিয়ে কি কিনবে, অফিসে বাসে যাবে না ট্রামে, কাজ করতে করতে কখন একটু বিশ্রাম নেবে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবে সুশান্ত নিয়ে কিংবা ভারত-চীন নিয়ে, এই সিদ্ধান্তগুলি তুমিই নিয়েছিলে এবং সেই অনুসারে কাজ করেছ। অর্থাৎ অধিকাংশ সময় তুমি স্বাধীন ভাবে থাকো। তাহলে তোমার সমস্যা কি? অহেতুক দুশ্চিন্তা ও কল্পিত হীনভাব নিজের সম্বন্ধে।
তরে মাঝে-মাঝে জীবনে সমস্যা আসতেই পারে, ভয় দুঃখ স্বাভাবিক। সবার জীবনেই আসে। যখন তুমি ভেঙে পড়ো, প্রশ্ন করো এই জীডন কি অন্যের নির্দেশে চলবে না তোমার নির্দেশে? তোমার পথ কি অন্যে ঠিক করে দেবে? রোজ প্রায় সব কাজে তুমি যখন নিজেই সিদ্ধান্ত নাও এবং কাজে সফল হও, তখন আজ এই পরিস্থিতিতে অন্যরকম ভাবছ কেন? সব কাজেই তুমি মালিকের মতো কাজ করে এখন অন্যের দাস হতে চাইছো কেন? কল্পিত ভয়ে?
সোসাল মিডিয়ায় আমি প্রায়ই গালাগালি খাই। দু-একদিন আগে আমার পোস্ট পড়ে একজন কমেন্ট করেছিল "ছাগল"। মাসখানেক আগে একজন সরাসরি গাধা না বলে লিখেছিল "শীতলা মাতার বাহন"। দেখে ভাবলাম যে আমি তো নিজের মালিক, অতএব কমেন্ট পড়ে রাগ করবো না হাসবো সেটা আমিই ঠিক করবো। অন্যের হুকুমে আমি চলতে রাজি নই। আমি সম্রাট, আর সম্রাটকে কেউ অর্ডার দিতে পারেনা।
সম্রাটের মতো বাঁচো আনন্দ। ক্ষত্রিয়ের জন্ম তো লড়াই করার জন্যই। আর এই যুদ্ধের মাধ্যমেই সে নিজের প্রতিভা দেখাতে পারে। তার কাছে যুদ্ধ এক সুযোগ, বিপদ নয়। ক্ষত্রিয়ের শ্রেষ্ঠ ভূষণ তার অস্ত, তার তরোয়াল। আপদ বিপদ দেখলে ওঠাও তোমার তরবারি, প্রকাশ করো ক্ষত্রিয়ের তেজ, বাঁচো সম্রাটের মতো।
আসল সমস্যা কি জানো, আনন্দ? আমরা চাই আমার হয়ে অন্য কেউ লড়ুক। নিজের লড়াইয়ের দায়িত্ব তুলে দিতে চাই অন্যের হাতে। আর এ ভাবেই নিজের স্বাধীনতা হারাই, নিজের ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে দিই অন্যকে। ক্রীতদাসে পরিণত হই।
ভাবছো হয়তো, যদি ভুল করি সিদ্ধান্ত নিতে, কাজে ব্যর্থ হই যদি? আনন্দ, মানুষের সবচেয়ে বড় মৌলিক অধিকার হলো ভুল করার অধিকার। ব্যর্থতাই প্রমাণ করে যে তুমি চেষ্টা করেছিলে, পালিয়ে যাওনি। ব্যর্থতাই বলে দেয় যে তুমি ক্ষত্রিয়ের মতো বাঁচতে চেয়েছ, স্বভাবে সম্রাট বলেই লড়েছ মাথা নত না করে।
অভিযোগ আর অজুহাত দিয়ে নিজের অক্ষমতা লুকোতে চেওনা। নিজের অন্তরাত্মাকে দেখ, পথ খুঁজে পাবে। বিবেকের কথা শোন, দিশা পাবে। নিজের দৈনন্দিন জীবনকে লক্ষ্য করো, সাহস ফিরে পাবে। সিদ্ধান্ত নাও, তোমার জীবনের মালিক কি তুমি হবে অথবা অন্য কেউ? তুমি কি সম্রাটের মতো বাঁচতে চাও কিংবা ভিখারির মতো?
নিজের জীবনের দায়িত্ব নিজে নাও। অন্যকে impress করার জন্য তুমি জন্মাওনি। তুমি বেঁচে আছো নিজের অসীম সম্ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতে, নিজের প্রতিভাকে প্রকাশ করার জন্য।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Oct, 08:39


প্রশ্ন︎ সমাজসেবামূলক কাজে যে স্কুলটি গড়ে তুলছি সেই কাজে বাধা আসছে। এ চিন্তায় অস্থির আছি। এমনকি ঘুমের সময়ও চিন্তা চলে। মায়ের উপর ছেড়ে দিয়েও মন শান্ত হচ্ছেনা। কি যে করি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●সবার জীবনেই এমন অবস্থা আসে কখনো কখনো। তোমার জীবনেও আগে এমন হয়েছে নিশ্চয়ই? একে পরীক্ষা হিসেবি নাও। অস্থির মনকে শান্ত করার নানা পদ্ধতি এই গ্রুপে আলোচনা করা হয়েছে। "টেনশন কমানোর উপায়" বইয়েও রয়েছে অনেক টেকনিক।
ভাল চিন্তা ও কাজ আটকে থাকেনা, তবে দেরী হতে পারে কখনো কখনো। মন শান্ত করার কিছু টেকনিক অভ্যাস করো, মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে থাকো, সমস্যা দূর করার কিছু বিকল্প পথ নিয়ে ভাবো। সব ঠিক হয়ে যাবে। ধৈর্য রাখো।
তুমি লিখেছ "মায়ের উপর ছেড়ে দিয়েছি"। প্রার্থনা ও সমর্পণের মধ্যে পার্থক্য আছে। প্রার্থনায় ঈশ্বরের কাছে কিছু চাওয়া হয়, ঈশ্বরকে বলা হয় কী করতে হবে, কী চাই। আর সমর্পণে তাঁর উপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তিনি দিতে হয় তো দিন, না দিলে তাই সই। কৌরব সভায় দ্রৌপদী যতক্ষণ প্রার্থনা করছিলেন, শ্রীকৃষ্ণ সাড়া দেননি। কিন্তু সমর্পণ করার সাথে সাথে তিনি এগিয়ে এলেন।
সমর্পণ খুব কঠিন। আমি চেষ্টা করে হয়তো ১০% সমর্পণ করতে পারি। এবার চেষ্টা করবো একে ১৫% করতে। এভাবে ক্রমেক্রমে এ বাড়িয়ে ২৫%, ৪৮%, ৭৬% ....বাড়িয়ে যেতে হবে। যাই হোক, তুমি চেষ্টা করো, এরসাথে প্রার্থনা, বিভিন্ন মানুষের সাহায্য ইত্যাদি বিভিন্ন পথ। আর ভাবো অন্যান্য বিকল্প সমাধানের কথা। যুদ্ধ করতে হলে শুধু আর্মি নয়, আর্মি এয়ার নেভি সবের ব্যবহার করো।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ ভারতের মতো গ্রীসেও বিভিন্ন দেব দেবীর পুজো হতো। তাহলে কি এই দুই ধর্মের মধ্যে মিল ছিল?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●না। গ্রীসে বহু দেববাদ। প্রত্যেকের নিজস্ব অস্তিত্ব ছিল। এবং সবার রাজা একজন, জিউস। ভারতে একই সত্ত্বা বিভিন্ন দেবদেবী রূপে প্রকাশিত। গ্রীসে জিউস উপাস্য। কিন্তু ভারতে দেবরাজ ইন্দ্রের পুজো পরে বন্ধ হয়ে যায়। গ্রীসে জিউস এক সত্তা কিন্তু ভারতে ইন্দ্র এক বিশেষ স্থান যেখানে মানুষ বসতে পারে সাধনা করে।
গ্রীসে দেবদেবীরা স্বর্গে চিরকাল থাকেন। ভারতীয় চিন্তায় স্বর্গ সাময়িক, এবং দেবদেবী ঐ এক ত্ত্বায় মিশে যান নাম-রূপের উর্ধ্বে উঠে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Oct, 03:27


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Oct, 00:02


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

22 Oct, 00:01


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: মঙ্গলবার, ৫ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৩৯:৫০
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:২:৩০
তিথি: (আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ) ষষ্ঠী দং ৪৯|৩৫ রাত্রি ঘ ১|৩০.
নক্ষত্রঃ মৃগশিরা দং ০|২৮ প্রাত ঘ ৫|৫১ পরে আদ্রা দং ৫৯|৫৮ শেষ রাত্রি ঘ ৫|৩৯.
দক্ষিণায়ন হেমন্ত ঋতু প্রথম মাস আরম্ভ।
কবি সাহিত্যিক জীবনানন্দ দাশের তিরোভাব দিবস।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Oct, 14:47


প্রশ্ন︎ যে মানুষ বলে ধ্যান-দর্শন করি তার মধ্যে পরিবর্তন কোথায়? তার মনে লোভ, ঈর্ষা, হিংসা কেন? ধ্যান-দর্শন কি মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারছে?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●এর উত্তর ঠাকুর দিয়েছেন। গাছে দড়ি বাঁধা অবস্থায় থাকলে সারারাত নৌকো বাইরেও এগুনো যায়না। কেউ যদি সাধনা করেও লোভ ঈর্ষা হিংসা থেকে কিছুটা মুক্ত না হয় তাহলে বুঝতে হবে তার কিছু হয়নি, সাধনায় অগ্রগতি হচ্ছেনা। শুধু দাবী করলে তো হবেনা, আচরণে তার প্রকাশ চাই। এজন্যই স্বামীজি কর্মের উপর এতো জোর দিয়েছেন।
ধ্যান সত্যি সত্যি হচ্ছে কিনা কিভাবে বুঝবো? আর দর্শন তো ড্রাগস খেলেও হয়। গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে স্থিতপ্রজ্ঞের লক্ষণ হিসেবে তার আচরণের কথাই বলা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন, ধ্যান ও দর্শন মানুষকে সঠিক পথে চালিত করে কিনা? তাহলে এ প্রশ্নও উঠবে, শিক্ষা নিয়েও কারণ উচ্চশিক্ষিত শয়তান দেখা যায়। এ প্রশ্ন বিজ্ঞান নিয়েও কারণ মারণাস্ত্র তৈরি করেন বড়বড় বিজ্ঞানীরা। সবকিছু নিয়েই এমন সন্দেহ উঠবে। রাবণ, ভস্মাসুর, হিরণ্যকশিপু, মহিষাসুর ইত্যাদি বড়বড় অসুরের অনেক তপস্যা করছিল। এদের মন পবিত্র হলো না কেন? আজকের যুগেও ছোটখাটো অনেক অসুর আছে। দেখতে হবে, এরা কেন জপধ্যান করছে? মুল উদ্দেশ্য কি? বিদ্যুৎ এক শক্তি। কিন্তু যে এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তার উদ্দেশ্য কি? আলো জ্বালা না মানুষ মারা? রাবণ, কুম্ভকর্ণ, বিভীষণ, একসঙ্গে তপস্যা করা সত্ত্বেও প্রত্যেকে আলাদা আলাদা ফল পেলেন। কারণ তাদের উদ্দেশ্যের মধ্যে পার্থক্য ছিল।
তবে সুযোগেই এমন লোক ছিল, আছেও। এ নিয়ে চিন্তা না করে নিজের শক্তি বাড়ালে এদের সাথে যুদ্ধ করা সহজ হয়।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ ওম্ (ॐ) এবং ওং, এই দুয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●ওম্ হলো মূল প্রণব। একে যখন কোনো নামের সাথে যুক্ত করা হয় তখন এই যোগ বা সন্ধি হয় ব্যাকরণের সূত্র অনুসারে। আর তখন ম্ স্থানে অনুস্বার বসে। যেমন ইতি+আদি =ইত্যাদি (ইকোযনচি সূত্র অনুসারে, অর্থাত্ তি'র ই এবং আদি'র আ যোগ বা সন্ধি করে য'ফলা হয়েছে।)
ওম্ জপ করেন অনেকে। কিন্তু শিব নামের সাথে যোগ করে মন্ত্র তৈরি হলে তখন ওং নমঃ শিবায় হবে। ॐ নিয়ে আলোচনা করেছি ইউটিউবে।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Oct, 08:48


~ অন্যরকম ~
#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ
====×====×====×====
২০ বছরে কর্মজীবন শুরু। আর ২৫ বছরে বয়সে নিজের কোম্পানী। মনোজ জৈন। মারোয়াড়ি, ধর্মে জৈন। বাবা কাকা সবাই ছিলেন সরকারী চাকুরে। কিন্তু মনোজ হাঁটলো অন্যপথে। LIC-র এজেন্ট হয়ে। এক জৈন সাধুর আশীর্বাদ নিতে গেলে মুনিজী বলেছিলেন, গ্রাহকদের স্বার্থকে আগে দেখবি, তাদের সুখ-দুঃখকে নিজের সুখ-দুঃখ বলে মনে করবি। ঐ নীতি নিয়ে শুরু। পাঁচ বছরেই নিজের কোম্পানি "মানি ম্যানেজার"। বাবা কি ব্যাঙ্ক থেকে কোনও সাহায্য না নিয়েই। আজ ৪৫ বছরের মনোজ। নিজের ক্ষেত্রে সুখ্যাত, শুধু ব্যবসায়ী নয়, মানুষ হিসেবেও। অন্যরকম ব্যক্তিত্ব। প্রায়ই আসে। কিছুক্ষণ কাটিয়ে যায়। গত রোববারও এসেছিল। দেখলাম, করোনা বা লকডাউনে ব্যবসায় ক্ষতি নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। সেই বার্তালাপ.....।

●লকডাউনে তিন মাসের ওপর কারবার বন্ধ। কি রকম লাগছে?
¤তেমন কিছু নয়। জীবনে এমন তো হয়ই। আগেও হয়েছে, পরেও হবে।
‌●কিভাবে সামলাও এমন পরিস্থিতি?
¤জীবনে ভালমন্দ অবস্থা থাকেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে নিজের পথ খুঁজে নেওয়া, এটাই তো বুদ্ধিমানের লক্ষণ। এর আগে নোটবন্দি হয়েছে, সরকার পাল্টেছে, করোনা এসেছে। এ তো চলতে থাকেই।
●GST-র সময় তুমি ঘাবড়াও নি। রহস্যটা কি?
¤বন্যা, ভূমিকম্প, অনাবৃষ্টি, সাইক্লোন ইত্যাদি যেমন জীবনের অঙ্গ, নোটবন্দি করোনাও তেমনি। এ নিয়ে দুঃখ করে লাভ কি? সমস্যা এসেছে তো সমাধান করো। আমি এই নীতি নিয়েই চলি। ধর্ম তো এ-কথাই বলে, তাইনা? আপনি শুনিয়েছিলেন গীতার বাণী। লাড-ক্ষতি জয়-পরাজয় সবকিছুতে সমান থাকা। ধর্ম মেনে চললে সব ঠিক চলে।
‌●জৈন হয়ে তুমি যা পারো, হিন্দু হয়েও অনেকে তা পারেনা।
¤মানুষ যত ধার্মিক হয় তত বেশি প্র্যাক্টিক্যাল হয়। জৈন মুনি বহু আগে যা বলেছিলেন আমাকে, কাজ করতে গিয়ে তার সত্যতা বুঝেছি।
●কারোর কাছে অর্থসাহায্য না নিয়ে নিজের কোম্পানি তৈরি করলে কিভাবে?
¤মুনিজীর কথা শুনে। তিনি বলেছিলেন, মানুষের বিশ্বাস অর্জন করো, তারাই সব দেবে তোমাকে। গ্রাহকদের স্বার্থেকে আমি নিজের স্বার্থ ভাবি। আর এভাবেই বীমাএজেন্সি থেকে পোস্টাপিস, ব্যাঙ্ক, প্রাইভেট ফাইনান্সিয়াল সংস্থা, কোম্পানি, শেয়ার। ব্যবসা বাড়িয়েছি। গ্রাহকদের টাকাকে নিজের টাকা মনে করে তাদের নিয়মিত বলি কোন টাকা তুলে নিতে হবে, কোথায় নিবেশ করা দরকার, কখন অপেক্ষা করতে হবে। কখনো তারা বাইরে থাকলে আমি নিজেই পেমেন্ট করে দিই। পরে ফেরৎ পাই।
‌●ব্যাঙ্ক বা কোম্পানি যেখানে আজ ৬-৭% সুদ দিচ্ছে সেখানে তোমারকোনো গ্রাহক ১২-১৫% কিভাবে পাচ্ছেন?
¤প্রাইভেট সংস্থা যারা স্বল্প মেয়াদে টাকা নিবেশ করে তাদের কেউ কেউ দেয়।
‌●এতে টাকা মার যায়না?
¤না কারণ এই লেনদেন চেক মারফত হয়। মানছি যে এই ক্ষেত্রে অনেক খারাপ লোক আছে, কিন্তু ভাল লোকও রয়েছে। চিট ফান্ড নিয়ে অনেক হৈচৈ। কিন্তু চেন্নাইয়ের শ্রীরাম ট্র্যান্সপোর্ট, কলকাতার পিয়ারলেস, এরা তো বিশ্বাসযোগ্য ও বিখ্যাত। সমাজে ভালমন্দ দুইই আছে।।
‌●একটা খবর শুনলাম। তোমার মেয়ে কলেজ থেকে বিদেশ ভ্রমণে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু টাকা থাকলেও তুমি তা দিতে রাজি হওনি।
¤আসল ব্যাপারটা এরকম। আমি বলেছিলাম, টাকা ধার হিসেবে দেব। ভ্রমণ থেকে ফিরে সে আমার অফিসে দিনে তিন ঘন্টা করে ৮ মাস কাজ করে শোধ দেবে। এই শর্ত মেনে সে টাকা পেয়েছে।
‌●বাবা হয়ে মেয়েকে টাকা ধার দিলে? অথচ তুমি খুব পয়সাওলা মানুষ !
¤ব্যাপার কি জানেন স্বামীজি? টাকার দাম সেই বোঝে যে নিজে উপার্জন করে। তাই মেয়ের ভবিষ্যত্ চিন্তা করেই এই স্টেপ নিয়েছিলাম। আমি চাই সে নিজের শক্তিতে দাঁড়াক, বাবার শক্তিতে নয়।
‌●কারোর সাহায্য না নিয়ে নিজের চেষ্টায় তুমি বড় হয়েছ। তোমার জীবনের উদ্দেশ্য কি? টাকা তো অনেক কামিয়েছে!
¤মুনিজী বলেছিলেন, ব্যবসা নয়, সেবা কর্। এটাই তোর সাধনা। আমি আজও তাঁর উপদেশ মেনে চলেছি।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Oct, 02:55


পূজনীয় মহারাজের অমৃতবাণী। সৌজন্যেঃ ইউটিউব চ্যানেল স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
http://www.youtube.com/c/SwamiSomeswarAnudhyan

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Oct, 00:05


আত্মবিকাশের জন্য পূজনীয় মহারাজের পূর্বনির্দেশিত অনুশীলন নিয়মিত অভ্যাস করে দেখুন।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

21 Oct, 00:04


সুপ্রভাত - মঙ্গলময় হোক দিন
~~~~~~~~~~~~~~~~~
দিনপঞ্জী (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত)
~~~~~~~~~~~~~~~~~
আজ: সোমবার, ৪ কার্ত্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ।
সূর্যোদয়: সকাল ৫:৩৯:২১
সূর্যাস্ত: বিকাল ৫:৩:১৭
তিথি: (আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষ) পঞ্চমী দং ৫|২৮ রাত্রি ঘ ২|৩০.
নক্ষত্রঃ রোহিনী দং ৩|০ দিবা ঘ ৬|৫১.
সৎসঙ্গ সংঘের প্রধান আচার্যের আবির্ভাব দিবস।
আনন্দমার্গ সংঘগুরু শ্রী আনন্দমুর্তিজীর প্রয়াণ দিবস।
শ্রী নরোত্তম দাস ঠাকুরের তিরোভাব তিথি।

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

20 Oct, 14:21


প্রশ্ন︎ প্রাপ্তমনস্ক (matured) ব্যক্তি কাকে বলব? ম্যাচিওরিটির লক্ষণ কি?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●গীতা পড়ুন। এ বিষয়ে শ্রীকৃষ্ণ সুন্দর কতগুলি পয়েন্ট বলেছেন। এবং নিজের ব্যবহারে দেখালেন ম্যাচিওরড্ ব্যক্তির আচরণ। এখানে আমরা কয়েকটির উল্লেখ করি।
প্রথমত, সব পরিস্থিতিতে তিনি মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখেন। শ্রীকৃষ্ণের ভাষায়, সুখ-দুঃখ লাভ-ক্ষতি জয়-পরাজয়ে মনকে শান্ত রাখা।
দ্বিতীয়ত, তিনি অন্যকে সাহস ও উৎসাহ দেন, তাকে সাহায্য করেন বড় হতে।
তৃতীয়ত, ব্যক্তির মানসিকতা অনুযায়ী পথ দেখান তিনি। অন্যের level of understanding দেখে উপদেশ দেন।
চতুর্থত, যে কোনো কাজ করার সময় তিনি ঐ কাজের পরিণতি নিয়ে চিন্তা করেন। সমাজে ঐ কাজের প্রভাব বিচার করেন।
পঞ্চমত, নিজের স্বার্থ নয়, নীতি ও সত্যই তার লক্ষ্য।
এই পাঁচটি আমরা দেখতে পাই গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে। সংক্ষেপে আজ এটুকুই উল্লেখ করলাম।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ ধ্যান গভীর হলেই কি সাধক সমাধি পান? এই অবস্থায় কি অনুভব হয়?


#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●সমাধি নানারকম আছে। সবিতর্ক, নির্বিতর্ক, সবিচার, নির্বিচার, সানন্দ, সাস্মিত সমাধি। এর মাধ্যমে মনের অশুদ্ধতা চলে যায়। এর পরে অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি হলে মনের শুদ্ধতাও চলে যায়। অর্থাৎ গোলাপ গাছ থেকে প্রথমে কাঁটা বিলীন হলো, পরে ফুলও।
কিন্তু কাঁটা ও ফুল বিলীন হলেও গাছ থেকে যায়। আর এ থেকে আবার কাঁটা ও ফুল সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি দুই রকম -- সবীজ ও নির্বীজ। এই বীজ তাই জ্বালিয়ে দিতে হয়। আর তখনই ঘটে নির্বীজ অসম্প্রজ্ঞাত সমাধি।
এ বিষয়ে আর আলোচনা করবোনা। আপনি কৌতূহলী হলে "ধ্যান শেখার ক্লাস" বইটি দেখতে পারেন (পৃষ্ঠা ৩১-৩৫)।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

Swami Someswar Anudhyan (স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান)

20 Oct, 08:07


প্রশ্ন︎ রোগ কি আমাদের কর্মের ফল? আমার এক আত্মীয়, খুব ভালমানুষ, ক্যান্সারে মারা গেছেন। ভাল ও খারাপ কর্মের সংজ্ঞা কি?
.
#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●সব প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। ঠাকুরও ক্যান্সারে দেহত্যাগ করেছিলেন। অনেকে বলেন, সঙ্ঘ তৈরির জন্য তিনি স্বেচ্ছায় রোগ নেন অন্তরঙ্গ ভক্তদের সম্মিলিত করার জন্য। কেউ বলেন, গিরিশ ঘোষের পাপ গ্রহণ করার ফলে। আর এও পড়েছি যে যাদের শেষ জন্ম তাদের কর্মফল তাড়াতাড়ি কেটে যাবার জন্য কঠিন রোগ বা কষ্ট হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাই না। ছোটবেলায় ডাক্তার যখন বলেন চোখ খারাপের জন্য আমায় চশমা নিতে হবে, আমি চিন্তা করিনি গত জন্মের কোন পাপের ফলে আমার চোখ খারাপ হলো অল্প বয়সেই। বরং ডাক্তারের কথা শুনে চশমা নিলাম। এখনও অসুখ হলে কর্মের চিন্তা না করে ওষুধ খেয়ে নিই।
ভাল কাজ করলে কোনো অসুখ হবে না বা জীবনে দুঃখ কষ্ট আসবে না, এমন কথা শাস্ত্রে পাইনি। ব্যক্তিগতভাবে না করলেও সামূহিক কর্মের ফলও জীবনে আসে। শান্তিপ্রস্তাব ব্যর্থ হবার পর শ্রীকৃষ্ণ যখন ফিরে যাচ্ছেন তখন বলেছিলেন ভীষণ যুদ্ধ হবে, অসংখ্য লোক মরবে। একজন প্রশ্ন করেন, এতে তো নির্দোষ মানুষও মরবে! শ্রীকৃষ্ণ তার উত্তরে বলেন, দুর্যোধনের অন্যায় দেখেও যারা চুপ করে ছিল তারা নির্দোষ নয়। অন্যায়কে সহ্য করাও পাপ। অর্থাৎ আজ সমাজে অনাচার দেখেও যে অসংখ্য মানুষ চুপ করে আছেন, গীতার ভাষায় তারাও পাপী। সেই কবিতাটা শুনেছেন? "আমি বাপু সাতেপাঁচে থাকি না / বারান্দা হতে আমি নামি না।"
এবার প্রশ্ন, ভাল কাজ ও খারাপ কাজের সংজ্ঞা কি? যে কাজে নিজের ও অন্যের ক্ষতি হয় সেটা খারাপ কাজ। এরকম ভাল কাজে সমাজের উপকার হয়।
====×====×====×====×====
প্রশ্ন︎ অফিসে আমার টেবিলে ঠাকুর ও মায়ের ফটো দেখে অনেকে জানতে চান এদের সম্বন্ধে। এমন লোকদের কিভাবে বললে ভাল হয়?

#স্বামী_সোমেশ্বরানন্দ

●●●ইংরেজী ও অন্যান্য ভাষায় এদের সংক্ষিপ্ত জীবনী ও উপদেশ পাওয়া যায়। রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে এই ছোট বইগুলি পাওয়া যায়। অফিসে জিজ্ঞাসু সহকর্মী বা গ্রাহকদের উপহার দিতে পারেন। কেউ বেশি আগ্রহ দেখালে স্থানীয় আশ্রমে নিয়ে যান তাকে। অবাঙালি হলে তাকে পড়তে দিন রোমাঁ রোলাঁ কিংবা ঈশারউডের লেখা বই। আশ্রমের লাইব্রেরিতে পাবেন।
~~~~~
পূর্ব প্রকাশিত পোষ্ট - সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত
~~~~~
সুস্বাগতম ফেসবুক গ্রুপঃ স্বামী সোমেশ্বর অনুধ্যান
https://www.facebook.com/groups/249707259636878/?ref=share

1,976

subscribers

2,935

photos

2,095

videos