বরকতময় রমাদান

@ramadanreminder


রমাদান বিষয়ে লেখনী সমূহ একত্রে সহজ প্রাপ্য করার উদ্দেশ্যে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

21 Jan, 00:18


তাকওয়া অর্জনের মাস রমজান ❞

- শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

21 Jan, 00:18


কিভাবে কাটাবো রমজানুল মোবারক

- শাইখ তামিম আল আদনানী হাফিজাহুল্লাহ

#Ramadan
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

21 Jan, 00:17


রমাদান বিষয়ক দুইটি গুরুত্বপূর্ণ অডিও লেকচার আজকে আপলোড করা হবে ইন শা আল্লাহ, যেগুলো রমাদান মাসের জন্য সহায়ক হবে।

https://t.me/RamadanReminder/3527

https://t.me/RamadanReminder/3528

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 22:41


JOIN 👇
শেষ জামানা এবং ফিৎনা।
https://t.me/ShesJamanarFitnah

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 22:02


আসছে টানা ৮ দিন ধারাবাহিক নফল সিয়ামের অভাবনীয় সুযোগ!

আগামীকাল সোমবার সাপ্তাহিক সুন্নাহ সিয়ামের দিন।
মঙ্গল ও বুধবার আশুরার সিয়াম। বৃহস্পতিবারও সাপ্তাহিক সুন্নাহ সিয়ামের দিন।


নিছক জুমা হিসেবে নফল রোযা নিষেধ হলেও মুহাররম মাস হিসেবে এবং আগে-পরে রোযার সাথে জুমার দিনও রোযা রাখা যায়। আবার চাইলে বিরতিও দেওয়া যায়।

এরপর শনি, রবি ও সোম আইয়্যামে বিজ তথা চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের সিয়াম।

এই সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারানো উচিত হবে না।

★ একজন মুসলমান ফরজ ইবাদত তো পালন করবেনই, এটা তার অপরিহার্য দায়িত্ব; পাশপাশি আল্লাহর প্রিয় হয়ে ওঠার জন্য, আল্লাহর কাছে নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের নফল ইবাদতের প্রতিও তিনি যত্নবান হবেন।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 20:01


“ রমাদান ছাড়াও বছরে সাতটি সময়ে রোজা রাখা সুন্নত। ”

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 20:00


শাওয়ালের ছয় রোজায় ডাবল সওয়াব লাভের উপায়।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:59


রমাদান পেয়ে কে ক্ষমাপ্রাপ্ত?
আর কে অভিশপ্ত?


- মাওলানা মামুনুর রশিদ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:59


পুরো বছরকে রমাদানময় করতে রমাদানের তিনটি আমল ছাড়বেন না।

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:59


“ রমাদান শেষ হলেও -

রোজা রাখার ‍সুযোগ শেষ হয়নি,
কিয়ামুল লাইল শেষ হয়ে যায়নি,
কুরআনও হারিয়ে যায়নি;
সওয়াবের আশ্বাসও ফুরোয়নি।

- শাইখ আতিক উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:58


প্রশ্নঃ- মা-বোনরা রমাদানের কাযা রোযাগুলো আগে রাখবেন?
নাকি শাওয়াল মাসের ছয় রোযা আগে রাখবেন?


মা-বোনদের রমাদানের ভাঙতি কাযা রোযার সাথে শাওয়ালের ছয় রোযার নিয়ত করলে আদায় হবে?

بسم الله والحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله

উত্তরঃ- এক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে, কাযা রোযাগুলো আগে রেখে পরে শাওয়ালের ছয় রোযা রাখা৷
কেননা নফলের চেয়ে ফরযের গুরুত্বই বেশি৷

কাযা রোযাগুলো হচ্ছে ফরয৷ আর শাওয়ালের রোযা নফল৷
যদিও এই ছয় রোযার ফযীলত অপরিসীম৷

হাদীসে এসেছে আবু আইয়ুব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত -
‘যে ব্যক্তি রমাদানের রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসে ৬ টি রোযা রাখবে, সে যেন পুরো বছরজুড়ে রোযা রাখল৷’
( মুসলিম হাদীস নং- ১১৬৪ )

তবে কেউ যদি মনে করেন -
আগে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রেখে দেই, পরে কাযা রোযা আদায় করব; তাহলেও সমস্যা নেই৷

কেননা শাওয়ালের ছয়টি রোযা তো এই মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট৷ শাওয়ালের মধ্যেই রাখতে হবে৷

অপরদিকে কাযা রোযা বছরের যে কোনো মাসে, যে কোনো দিনে বিক্ষিপ্তভাবে রাখতে পারবেন৷

হানাফী, শাফেঈ ও মালেকী মাযহাবের রায়ও এইট যে - কাযা রোযার আগে শাওয়ালের রোযা বা যে কোনো নফল রাখা যাবে, কোনো সমস্যা নেই৷

পক্ষান্তরে হাম্বলী মাযহাব মতে আগে কাযাগুলো রাখতে হবে৷ পরে নফল৷ কাযার আগে নফল রাখা জায়েয নেই৷ যদিও হাম্বলী মাযহাবের এই মতটি জুমহূরের বিপরীত৷

তাছাড়া হাদীসে প্রথমে কাযা আদায় করে শাওয়ালের রোযা রাখার কোনো কথা সুস্পষ্টভাবে আসেনি৷

বরং আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আগের রমাদানের কাযা পরের শা'বানে রাখতেন বলে বুখারি-মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীসের কিতাবে বিবরণ পাওয়া যায়৷
‘আবু সালামা বলেন, আমি শুনেছি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেনঃ
আমার উপর বিগত রমযানের রোযা বাকি থাকত, যার কাযা আমি ( পরবর্তী ) শা‘বান মাস ছাড়া আদায় করতে পারতাম না।’
( বুখারী হাদীস নং - ১৮৪৯ ও মুসলিম হাদীস নং - ১১৪৬ )

আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা যদি শাওয়ালের রোযা আদায় করে থাকেন, আর উম্মুল মুমিনীন থেকে তো না রাখার ধারণা করা যায় না৷ তাহলে তো রামাযানের কাযা আদায় না করেই তিনি শাওয়ালের ছয়টি রোযা আদায় করেছেন, সেটাই এই রেওয়ায়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয়৷

তাছাড়া শাওয়ালের রোযা রাখতে হলে আগে কাযা আদায় করতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা অনেকটা কঠিন হয়ে যায়৷
বিশেষত নারীদের জন্যে একমাস রোযা রাখার পর শাওয়াল মাসেরও আরো অর্ধেক রোযা পালন আসলেই কঠিন কাজ৷

এইজন্য শরীয়ত এমন নির্দেশনা দেয়নি৷
তাই শাওয়ালের রোযা আগে রেখে পরে যে কোনো সময় কাযা আদায়েরও সুযোগ রয়েছে৷
বিশেষত মা-বোনরা এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন৷

রমাদানের কাযা রোযার সাথে শাওয়ালের রোযার নিয়ত করলে আদায় হবেনা৷
বরং কাযা এবং শাওয়ালের রোযা পৃথক পৃথকভাবে রাখতে হবে৷

‘যদি রমাদানের কাযা এবং নফলের নিয়ত করা হয়, তাহলে এক বর্ণনা মতে ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ ও ইমাম আবু ইউসুফ রাহ. এর মত হলো - এতে রমাদানের কাযা আদায় হবে৷’
( আল-বাহরুর রায়িকঃ ২/২৯৯ )

দারুল ইফতা দেওবন্দের ফতোয়া -
কাযা রোযা পৃথক রাখবে৷ শাওয়ালের নফল ছয় রোযা পৃথক রাখবে৷
কাযা রোযার সাথে নফল রোযার নিয়ত করা ঠিক নয়৷
( ফতোয়া নং - ৫৫৫২৪ )

والله تعالي اعلم بالصواب.

উত্তর লিখনে-
মুফতি জিয়াউর রহমান হাফিজাহুল্লাহ,
আম্বরখানা সিলেট।
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:53


শাওয়ালের ছয়টা সিয়াম কি পরের মাসগুলোতে আদায় করা যাবে?

শাওয়াল চলে গেলে এই সিয়াম পূর্ণ করার বিধান শরীআতে নেই। কেননা এটি হচ্ছে সুন্নাহ।

এর আদায়ের সময় তখন চলে যাবে, তা সেটা ব্যক্তি কোনো ওজরের জন্য ছাড়ুক বা ওজর ব্যতীতই ছাড়ুক। ❞

[ শাইখ বিন বাযকে রাহিমাহুল্লাহ,
মাজমুঊ ফাতাওয়াঃ ১৫/৩৮৯ ]
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:53


মহিলারা রমজানের কাজার আগে শাওয়ালের ৬ রোজা রাখতে পারবে কি?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:49


রমাদানের পর মুমিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:49


রমাদানের পরের সময়টা কিভাবে কাটাবেন?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:47


শাওয়াল ও আইয়্যামে বীজের রোজা একসাথে রাখা যাবে কিনা ?

- শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ

https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:47


শাওয়ালের ছয় রোযা
------------------------------
রমযানের পরবর্তী আরবী মাস হচ্ছে শাওয়াল। পয়লা শাওয়াল ঈদের দিন। ঈদের দিন রোযা রাখা হারাম। ঈদের দিন ব্যতীত বাকি দিনগুলোতে ছয়টি রোযা রাখার ফযীলত অনেক। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

যে ব্যক্তি রমযানে রোযা রাখল। এরপর শাওয়ালে ছয়টি রোযা রাখল। সে পুরো বছর রোযা রাখার সওয়াব লাভ করবে।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬৪)

পূর্ণ এক মাস রোযা রাখার পর শাওয়ালেও এর রেশ থেকে যায়। রোযা না রাখলেও রোযা রোযা মনে হয়। তাই শাওয়াল মাসে এমনিতেই রোযা রাখা সহজ। এ ছয় রোযা ইচ্ছা করলে লাগাতারও রাখা যায়। আবার কয়েকদিন বাদ দিয়ে বাদ দিয়েও রাখা যায়।আবার কয়েকদিন বাদ দিয়ে বাদ দিয়েও রাখা যায়। তাই একটু হিম্মত করে ফযীলতপূর্ণ এ ছয়টি রোযা রেখে পুরো বছর রোযা রাখার সওয়াব লাভ করার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলাই উত্তম তাওফীকদাতা।

শাওয়ালের রোযা বিষয়ক প্রশ্ন-উত্তর
============================
প্রশ্ন:
শাওয়াল মাসের ছয় রোযা রাখার নিয়ম কী? এগুলো এক সাথে লাগাতার ছয় দিন রাখা জরুরি, না মাঝে বিরতি দিয়ে রাখা যাবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর:
শাওয়ালের ছয় রোযা ধারাবাহিকভাবে একত্রে রাখা যায়, আবার বিরতি দিয়েও রাখা যায়। যেভাবেই রাখা হোক তা আদায় হয়ে যাবে এবং নির্ধারিত ফযীলতও লাভ হবে।
(লাতাইফুল মাআরিফ ৪৮৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/২১৫; আলমাজমূ ৬/৪২৬-৪২৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৬২; ফাতহুল মুলহিম ৩/১৮৭; আলমুগনী ৪/৪৩৮)
----------
প্রশ্ন:
এই হাদীসটির সঠিক তরজমা কী? কেউ যদি الدهرশব্দের অর্থ ‘একযুগ’করে তাহলে তা কি সহীহ হবে?
উত্তর:
হাদীসটির অর্থ-‘যে ব্যক্তি পুরো রমযান এবং এর পরে শাওয়ালের ছয়টি রোযা রাখল সে যেন পুরো এক বছর রোযা রাখল।’
প্রশ্নোক্ত হাদীসে الدهر শব্দটি দ্বারা এক বছর বুঝানো হয়েছে। কেননা শাওয়ালের ছয় রোযার ফযিলত সম্পর্কে বর্ণিত ‘সুনানে নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ’-এর এক বর্ণনায় الدهر এর পরিবর্তে আসসানাহ অর্থাৎ এক বৎসর এসেছে। অতএব এখানেও الدهر দ্বারা আসসানাহ বা এক বৎসরই উদ্দেশ্য হবে। এক যুগ নয়।
উল্লেখ্য, আভিধানিকভাবে الدهر শব্দটি কোনো নির্দিষ্ট সময় বুঝায় না। তাই الدهر এর অর্থ যুগ নয়। আভিধানিকভাবে الدهر শব্দের যে সব অর্থ পাওয়া যায় তা নিম্নরূপ :
(১) পুরো জীবন।
(২) দীর্ঘ সময়।
(৩) উল্লেখযোগ্য অনির্দিষ্ট সময়।
(৪) হাজার বছর
(৫) এক লক্ষ বছর।
উল্লেখ্য যে, হাদীসটিতে الدهر এর অর্থ যেমনিভাবে ১ বছর করা হয়েছে তেমনি কেউ কেউ পুরো জীবন অর্থেও তা ব্যবহার করেছেন। মূলত : এ দুটি কথায় কোনো বিরোধ নেই। কারণ একটি নেক আমলের ছওয়াব দশগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। সে হিসেবে শাওয়ালের ছয়টিসহ ছত্রিশটি রোযা রাখা মানে তিনশ ষাট দিনই অর্থাৎ ১ বছর রোযা রাখা। অতএব যে ব্যক্তি এভাবে প্রতি বছর ছত্রিশটি রোযা রাখল সে বস্ত্তত পুরো জীবনই রোযা রাখল।
(ইকমালুল মু’লিম ৪/১৩৯; মাআরিফুস সুনান ৫/৪৪৪; ফয়যুল কাদীর ৬/১৬১; ফাতহুল মুলহিম ৩/১৮৭; আউনুল মা’বুদ ৭/৬৩)
----------
প্রশ্ন:
রমযানের কাযা রোযা এবং শাওয়ালের ছয় রোযা একত্রে রাখলে উভয়টি আদায় হবে কি? এবং কাযা ও নফল রোযার সওয়াব পাওয়া যাবে কি?
উত্তর:
রযমানের কাযা রোযা এবং শাওয়ালের ছয় রোযা একত্রে নিয়ত করলে শুধু রমযানের কাযা রোযা আদায় হবে। শাওয়ালের ছয় রোযা আদায় হবে না। এবং ছয় রোযার সওয়াবও পাওয়া যাবে না। শাওয়ালের ছয় রোযা রাখতে হলে পৃথকভাবে শুধু এর নিয়তে রোযা রাখতে হবে।
(বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/৪৪০, ২/১৩; ফাতহুল কাদীর ২/২৪৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০১)

[ মাসিক আলকাউসার ]
#Ramadan
#Shawal
#শাওয়াল
https://t.me/RamadanReminder

বরকতময় রমাদান

20 Jan, 19:47


আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) এর বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১১৬৪)
অর্থাৎ,শাওয়াল মাসের মাত্র ৬টি রোজার সাওয়াব বছরজুড়ে রোজা রাখার সমতুল্য।

রমাদান মাসের পরের মাস অর্থাৎ হিজরি সনের দশম মাস হলো শাওয়াল মাস। এ মাসের প্রথম দিনে মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ জাতীয় উৎসব, ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। উৎসব আনন্দে মুসলমানগণ যাতে রমাদানের মহৎ শিক্ষাটা ভুলে না যায়, হয়তো সে জন্যই রাসুলে করিম (সা.) এ মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখতে উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন।
শাওয়ালের ছয় রোজা রাখার আরও ফায়দা হচ্ছে- অবহেলার কারণে অথবা গুনাহর কারণে রমাদানের রোজার উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে থাকে সেটা পুষিয়ে নেয়া। কেয়ামতের দিন ফরজ আমলের কমতি নফল আমল দিয়ে পূরণ করা হবে। এগুলোই শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখার ফজিলত।

এর বিধানসমূহঃ
১) রমাদানের সিয়াম পালনের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখা সুন্নত-মুস্তাহাব; ফরজ/ওয়াজিব নয়।
২) এই রোজা শাওয়াল মাসের যেকোন দিনে রাখতে পারবেন।
৩) একটানা অথবা ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখতে পারবেন আপনার সুবিধানুযায়ী।
৪) রমাদানের মত শাওয়ালের রোজা রাখার ক্ষেত্রেও সাহারী ও অবিলম্বে ইফতার করা সুন্নাহ।
৫) নিয়্যাত অন্তরের সংকল্প, মুখে করা জরুরী নয়। বরং জরুরী মনে করলে বিদয়াত হবে।
৬) এই রোজাগুলো আইয়্যামে বীজ ও সাপ্তাহিক নফল রোজার সাথে মিলিয়ে রাখা যায়। ফলে একটি রোজা রেখেও একাধিক রোজার ফজিলত হাসিল হবে। সেক্ষেত্রে অন্তরের নিয়্যাতই যথেষ্ট ইন শা আল্লাহ্‌।
৭) শাওয়ালের ৬ রোজায় বছরজুড়ে রোজা রাখার ফজিলত ওই ব্যক্তির জন্যই কার্যকর হবে, যে ব্যক্তি রমজান মাসজুড়ে ফরজ রোজা আদায় করেছেন এবং শাওয়ালের রোজা পালন করেন। তাই রমাদানে কারনবশত কোন রোজা কাজা করে ফেললে রমাদানের রোজাগুলো সম্পন্ন করে তারপর শাওয়ালের রোজা রাখবেন। এটাই উত্তম। আর যদি কাযা রোজার পরিমান এত বেশি হয় যে সেগুলো আগে রাখতে গেলে শাওয়ালের রোজাগুলো ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আগে শাওয়ালের রোজা রাখার অনুমতি আছে।
৮) শাওয়ালের ৬ রোজাকে সাক্ষী রোজা বলা যাবেনা। সাক্ষী রোজা নামে শরীয়তে কোন রোজা নাই।

রেফারেন্সঃ
https://ifatwa.info/18135/?show=18135#q18135
https://ifatwa.info/18523/?show=18523#q18523
https://ifatwa.info/17803/?show=17803#q17803
- IOM

#Ramadan
#Shawal
#শাওয়াল
https://t.me/RamadanReminder